ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। রোববার (২৩ মার্চ) উপত্যকাটির বিভিন্ন জায়গায় নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলায় অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই তালিকায় আছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল বারহুমও। চলমান যুদ্ধে নেতানিয়াহু বাহিনীর বর্বরতায় উপত্যকাটিতে মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
উপত্যকাটিতে মৃতের সংখ্যা পঞ্চাশ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। যাদের মধ্যে ১৭ হাজারের বেশি শিশু।
এর আগে রোববার রাতে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ওই হামলাতে ইসমাইল বারহুম ও অপর একজন নিহত হন। হামাস ইসমাইল বারহুমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ইসমাইল নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখানেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সন্ধ্যায় দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে প্রতিরক্ষা বাহিনী ‘সফলভাবে জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা ইসমাইল বারহুমকে নাসের হাসপাতালে হত্যা করেছে।’
ইসমাইল ছিলেন গাজার হামাস সরকারের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইসাম দা’আলিসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। যাকে কয়েকদিন আগে হত্যা করা হয়।
এদিকে গাজার পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও ভয়াবহ হচ্ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটির যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ জানান, ইসরাইলি সামরিক অভিযানের কারণে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ এরইমধ্যে বাস্তুহারা হয়েছে। নতুন করে স্থল অভিযান শুরু হওয়ায় এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরাইলের সর্বশেষ হামলাকে ‘গণহত্যার নীতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে হামাস। তাল আস-সুলতান, সৌদি পাড়া ও আল-বারাকসাত এলাকায় ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটি জানায়, এসব হামলা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন।
এরমধ্যেই ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করেছেন। গাজায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি ও ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা হয় বলে জানায় নেতানিয়াহুর দফতর।