রাউজানে ৭ মাসে জব্দ ৫৮ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে ধ্বংস

হালদা নদীতে বেপরোয়া হয়ে উঠা মাছ চোরদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত কয়েক মাস থেকে রাউজান-হাটহাজারী উপজেলার মৎস্য কর্মিকর্তাগণ রাতে নদীতে নেমে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছেন। প্রায় প্রতি রাতে জব্দ করছে নদীতে পেতে রাখা সারি সারি জাল।

অভিযান পরিচালনাকারীরা জানিয়েছে গত ৫ আগষ্ট এর পরবর্তী সময় থেকে এই পর্যন্ত রাউজান উপজেলা মৎস্য অফিসের সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্রায় অর্ধ শতাধিক অভিযানে জব্দ করা হয়েছে প্রায় ৫৮ হাজার মিটার জাল। এই সময় উপজেলা সহকারি কমিশনার ভুমি অংছিং মারমা’র ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা করা হয়েছে জালপাতায় জড়িত দুজনকে।

একই ভাবে নদীতে রাত্রিকালীণ অভিযান পরিচালনা করছেন হাট হাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নৌপুলিশ ও হালদায় কাজ করা আইডিএফ এর সদস্যদের নিয়ে। অভিযান পরিচালনাকারীরা বলেছেন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মাছ চোরদের উৎপাত লক্ষ্য করা গেছে কছুখাইন, সাকরদা, মইশকরম ও নোয়াশিপুর এলাকার দিকে। অভিযানে বেশি জাল আটক করা হয়েছে ওসব এলাকা থেকে।

রাউজান উপজেলার সিনিয়ির মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন আজাদী বলেছেন নদী পাড়ের কিছু লোভি মৎস্যজীবি সন্ধ্যার পর পর নানা শ্রেণির জাল নিয়ে নদী নেমে মাছ মরছে।

তিনি বলেছেন নদী পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায় জালপাতার বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করছেন। সংবাদ পেলে প্রশাসনও রাতে অভিযান পরিচালনা করে সফলতা পাচ্ছে।

নদী পাড়ের জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, যারা নদীতে জাল পেতে বসে মাছ মারছে তারা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে কেউ তাদের বাঁধা দিতে সাহস করে না। কেউ কেউ গোপনে বিষয়টি প্রশাসনে জানিয়ে মাছ রক্ষায় ভুমিকা রাখার কারণে প্রতিরাতে জাল ধরা সম্ভব হচ্ছে।

মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন রাত্রিকালীণ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে অনেক সময় তারা মাছ চোরদের ইটপাটকেল খেতে হয়েছে। এসবের মধ্যেও তারা অভিযান পরিচালনা করে নদীতে জালপাতা বন্ধ করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। জব্দ করা জাল নদী পাড়ে উঠিয়ে পুড়ে ফেলা হচ্ছে।