নির্বাচন কমিশনকে ফ্যাসিবাদমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: রাশেদ খাঁন

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন। এ নির্বাচন হতে হবে ফ্যাসিবাদমুক্ত নির্বাচন।’

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি বাজারে পথসভা ও গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর নামে আওয়ামী পদধারীদের নির্বাচনের সুযোগ দিলে জনগণ রুখে দাঁড়াবে। সরকার যদি ফ্যাসিবাদের দোসরদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে নমনীয়তা দেখায়, তাহলে সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। প্রয়োজনে আমরা সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।’

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আগামীকাল নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই। তফসিল ঘোষণার পরে আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের সব ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যাবে। আমরা বিশ্বাস করতে চাই, নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবে।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলের ঐক্যের বিকল্প নেই। আমরা সব দল মিলে ফ্যাসিবাদী হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করেছি। আগামী নির্বাচনেও আমরা গণঅভ্যুত্থানপন্থি সব দল এক হয়ে উৎসবমুখর হয়ে ভোট দেবো। আমরা বিভেদের জালে আটকে গেলে ফ্যাসিবাদ ফিরে আশার ঝুঁকি তৈরি হবে।’

অন্য দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য রাজনীতি করব, ভোটের মাঠে প্রতিযোগিতা করব। কিন্তু আসুন আমরা হিংসা ছড়ানো থেকে বিরত থাকি। ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা কেবল সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব।’

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আপনারা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দেবেন। সৎ, শিক্ষিত ও দুর্নীতিমুক্ত ব্যক্তিকে আপনারা জয়যুক্ত করবেন। সৎ ও যোগ্য লোক নির্বাচিত হলে এলাকার সঠিক ও সুষম উন্নয়ন করা হবে। আমার কোনো টাকা-পয়সা নেই। আমি টাকা দিয়ে ভোট কিনতে পারব না। তবে আমার হৃদয়ে ঝিনাইদহবাসীর জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রয়েছে।’

এর আগে বিকেলে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাশেদ খাঁন। এসময় জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, যুব অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মিশন আলী, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ বক্তব্য রাখেন।