শফিউল আলম, রাউজান ঃ দেখতে যেন আরব দেশের কোন প্রসিদ্ধ মসজিদ, তবে এটি রাউজানের একটি গ্রামের মসজিদ। ২০ কোটির বেশি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মাণ করে একটি পারিবারিক স্বেচ্ছাসেবী ফাউন্ডেশন। সামনে তিনটি কারুকাজে গড়া মিনার সদৃশ ফটক। দুই পাশে দুইটি সোনালী রংয়ের ফোয়ারা ও মিনার। ছাদের উপরে বড় বড় দুটি সু-উচ্চ মিনার। যা কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যায়।
মসজিদটির মাঝখানে বড় একটি সিঁড়ি। সিঁড়ি বেয়ে একটু উপরে উঠলেই মুসল্লীদের সু-বিশাল নামাজের জায়গা। উপরে আর চারপাশে সোনালী রংয়ের বড় ছোট ঝুলন্ত ও দেয়াল বাতি। মেহরাবের উপরে কালেমা খচিত লেখা। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় যেন আরব দেশের কোন প্রসিদ্ধ মসজিদ এটি। সামনে দাঁড়ালে কিংবা ভেতরে ঢুকলে সহজেই যে কোন মানুষের দৃষ্টি কেড়ে মনে প্রশান্তি সৃষ্টি করবে। এটির পুরো নকশা আরব দেশের মসজিদগুলোর আদলে তৈরি। সৌন্দর্য্য ও নান্দনিকতায় এটি দেশের গ্রামাঞ্চলের একটি অনন্য মসজিদ। শহরে নয় গ্রামেই গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক এ মসজিদটি। যা বাংলাদেশের এক অনন্য সংযোজন বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
অপরূপ সাজে সজ্জিত, কারুকাজ সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন এ মসজিদটি নির্মিত হয়েছে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সামমাহালদার পাড়া গ্রামে। নন্দনিক রুপে নির্মিত এই মসজিদ পুনঃ নিমান করেন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন। মসজিদে নিয়মিত নামাজ আ্দায়কারী মুসল্লীদের রমজান মাসে ইফতার ও রমজান উপলক্ষে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ।