ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে অন্তত ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছেন। বন্দিদের অধিকার রক্ষায় কাজ করা সংগঠন ফিলিস্তিনি প্রিজনার সোসাইটি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ খবর উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই বন্দিরা মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৩৮ জনই গাজা উপত্যকার বাসিন্দা।
সংগঠনটির অভিযোগ, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কারাগারে গাজার বন্দিদের মৃত্যুর তথ্য গোপন করছে। বন্দিদের পরিবারের সদস্যরাও দীর্ঘ সময় ধরে তাদের স্বজনদের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। সংগঠনটি বিভিন্ন সূত্র ও ভুক্তভোগীদের বক্তব্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
ফিলিস্তিনের বন্দিবিষয়ক কমিশন সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছে, গাজার এক বন্দি মুসাব হানি হানিয়া ইসরায়েলি হেফাজতে মারা গেছেন। তিনি ৩৫ বছর বয়সী এবং খান ইউনিস শহরের বাসিন্দা। ২০২৪ সালের ৩ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তার পরিবারের দাবি, গ্রেপ্তারের আগে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন।
ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৬৭ সালে ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও গাজা দখলের পর থেকে অন্তত ২৯৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দি কারাগারে মারা গেছেন।
বর্তমানে কমপক্ষে ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলি কারাগারে আটক রয়েছেন। এই সংখ্যার মধ্যে গাজা থেকে আটক ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যাদের সংখ্যা আরও কয়েক হাজার হতে পারে।
সাম্প্রতিক বন্দি বিনিময় চুক্তি অনুযায়ী, হামাস সর্বশেষ দুই দফায় চার জিম্মির মরদেহ ও ছয় জিম্মিকে ফেরত দিয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী ইসরায়েলের ৬২০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও, তা বাস্তবায়ন হয়নি। বরং নতুন শর্ত দিয়ে ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস আরও চার জিম্মির মরদেহ ফেরত দিলে বন্দিদের মুক্তি দেবে।
এদিকে, হামাস বলেছে, বন্দি মুক্তির শর্ত পূরণ না হলে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসবে না। গোষ্ঠীটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি ছাড়া নতুন কোনো চুক্তির আলোচনা হবে না।