মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমীনের দরবারে সব পাপের জন্য পানাহ চেয়ে এবং আগামীদিনের রহমত ও বরকত কামনা করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, দোয়া-মোনাজাত, নফল নামাজ আদায়সহ পবিত্র লাইলাতুল বরাতের এবাদত বন্দেগীতে মসগুল ছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীয়ানগণ।
শিশু, কিশোরসহ নানা বয়সী মুসল্লি অংশ নেন জামাতে। এশার নামাজের পাশাপাশি শবে বরাতের নফল নামাজ আদায় করেন তারা।
এরপর কোরআন ও হাদিসের আলোকে শবে বরাতের তাৎপর্য ও গুরুত্ব নিয়ে বয়ান করেন খতিব ও ইমামরা। দরুদ, জিকির, মিলাদ, কিয়াম শেষে মোনাজাতে অংশ নেন মুসল্লিরা। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, সূর্যাস্তের পর থেকেই মসজিদগুলো বর্ণিল বাতির ফোয়ারায় আলোকোজ্জ্বল হয়ে ওঠে। বড় বড় মসজিদগুলোর সামনে টুপি, আতর, তসবিহ, মেসওয়াক, ধর্মীয় বই, পাজামা, পাঞ্জাবি, হালুয়া-পরোটা, চা, হালিমের দোকান বসে যায়। কিছু কিছু মসজিদের সামনে ছিল সাহায্যপ্রার্থী গরিবদের সারি। অনেকে বাসা-বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হালুয়া, আটা রুটি বিতরণ করেন। এবার শবে বরাত শুক্রবার দিনগত রাতে হওয়ায় জুমার নামাজেও ছিল মুসল্লির উপচেপড়া ভিড়। বেশিরভাগ মসজিদে বেশি মুসল্লির জামাতে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তারপরও অনেক মুসল্লিকে সড়কে দাঁড়িয়ে জুমার জামাতে অংশ নিতে দেখা গেছে।
শুধু মসজিদ নয়, মা-বাবা, মুরুব্বি, ভাই-বোন যাদের কবরবাসী হয়েছেন তারা সকালেই কবরস্থানে ছুটে যান। নগরের চৈতন্যগলি বাইশ মহল্লা কবরস্থানে স্বজনরা আগাছা, ফুল গাছের ডালপালা পরিষ্কার করেন। কেউ কেউ ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দেন।
বিকেল হতেই নফল রোজাদারদের জন্য ইফতারির পসরা সাজান অনেক হোটেল ও খাবারের দোকান। ইফতারের উপকরণ হিসেবে হালুয়া, ছোলা ভাজা, পেঁয়াজু, জিলাপি, বেগুনি, সমুচা, সিঙাড়া, হালিম, বিরিয়ানি, বোরহানি, মুড়ি বিক্রি হয়েছে বেশ।
মসজিদের পাশাপাশি চট্টগ্রামে প্রচুর পীর, আউলিয়ার দরবার, খানকাহ ও মাজার রয়েছে। এসব আধ্যাত্মিক কেন্দ্রেও ভক্ত আশেকদের উপস্থিতি ছিল বেশ।