চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নতুন প্রজন্মকে যদি আমরা নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে না পারি তাহলে একটি আদর্শ ও উন্নত জাতি গঠনে ব্যর্থ হব।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নগরের বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। এসময় মেয়র আরও বলেন, বাকলিয়া খালে উপদেষ্টাসহ এসেছেন আমার সাথে। সেখানে লেপ, তোষক, বালিশ এমন কিছু নেই যে পাওয়া যায়নি। এই যে এসব পাওয়া গেলে এটা কিসের নমুনা। সচেতনতার অভাব। আমরা খালকে পানির প্রভাবের জন্য ব্যবহার করব। যেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়। পানি যেন বাধাহীনভাবে চলাচল করে। কিন্তু (গার্বেজ ফেলার স্থান) এটা-সেটা ছুড়ে মেরে, আবর্জনা ফেলার স্থান হিসেবে কেন ব্যবহার করব আমি? আমরা শিক্ষকরা ছোট ছোট ছেলে মেয়েদেরকে বলব, তোমরা বাসায় বাবাকে, মাকে, মেইড সারভেন্টকে বলবে যেন এগুলো খালে ছুড়ে না মারে। এখন সিটি করপোরেশনের ডোর টু ডোর সার্ভিস চালু হয়েছে। এগুলো বাসার নিচে রেখে দিলে যারা ময়লা তোলার কাজ করছেন তারা এসে অটোমেটিক তুলে নিয়ে যাবে। চসিক মেয়র আরও বলেন, আমিতো যারা ডোর টু ডোর সার্ভিসের লোকদের বলে দিয়েছি যারা মাসে ১০০ টাকা করে নেয় তারা যেন সেটাকে ৫০ টাকা করে নেয়। পরবর্তীতে হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে সেটা কাটিং করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু আমরা অসচেতনভাবে ময়লাগুলো হরহামেশা বাইরে ফেলছি। এই শিক্ষাগুলো স্কুলে দিতে হবে আমাদেরকে। একইসাথে, শিক্ষক ও অভিভাবকদেরকে খেয়াল করতে হবে শিশুরা চকলেটের খোসাটা কোথায় ফেলছে। এটার থেকে তার একটা সচেতনতা সৃষ্টি হবে। স্কুল থেকে তাদেরকে সচেতনতা সৃষ্টি করা না গেলে ভবিষ্যতে ভুগতে হবে। তিনি আরও বলেন, বাচ্চাদের চাইল্ড হেলথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি চাইণ্ড হেলথ বিশেষজ্ঞদের সাথে বলেছি তারা এখানে আসবেন। তারা দেখবেন শিশুদের মধ্যে কোন মানসিক সমস্যা আছে কিনা, সাইকোলজিক্যাল বিষয় আছে কিনা? ক্লিনিং এণ্ড হাইজেনিং বিষয়ে তারা সাজেস্ট করবেন। সকালে বাচ্চাদের নাস্তাটা ভালো করে দেবেন। নাস্তা ছাড়া কেউ যেন স্কুলে না আসে। মিনিমাম একটা ডিম, কলা আর এক গ্লাস দুধ। ব্রেইন উন্নত করতে হরে, মনোযোগ বাড়াতে হলে তাদের পুষ্টির দিকগুলো আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। ইমপ্রেশন ব্যালেন্স রাইট খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, এটা আমার নিজেরই এলাকা। এই এলাকাটাকে সুন্দর করার জন্য আমার অনেক পরিকল্পনা আছে। সেজন্য চাই আপনাদের সহযোগিতা। যেন কোন বিষয়ে আমার সার্বিক সহযোগিতা থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন নাছির উদ্দীন, নগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হাসিনা বেগম, বাকলিয়া আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক, আশরাফুল আলম, মধুসূদন দাশ, রাজীব পাল, নাসরিন আখতার, জেসমিন আখতার, গোলাম রহমান, জান্নাতুল ফেরদৌস, শামিমআরা সুলতানা, আবু সিদ্দিক, আওলাদ হোসেন, নাছির উদ্দীন চৌধুরী, জিয়াউল হক মিন্টু, চকবাজার থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক মো সেলিম, বাকলিয়া থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, জাবেদুল হক, মনসুর সওদাগর, চকবাজার থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদ্দামুল হক, চকবাজার থানা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রাকিবুল হাসান রাকিব, মোস্তফা আলম কিশোর, রহিম মিনু প্রমুখ।