ঘরের মাঠে বরিশালকে টপকে দুইয়ে চিটাগাং কিংস

ঘরের মাঠে টানা দুই হারের পর অবশেষে জয়ে ফিরল চিটাগাং কিংস। দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে এক ধাপ এগিয়েছে দলটি। ফরচুন বরিশালকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠেছে চিটাগাংয়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চোধুরি স্টেডিয়ামে রাজশাহীকে ১১১ রানে হারিয়েছে চিটাগাং। শুরুতে ব্যাট করে ১৯১ রান করে চিটাগাং। জবাব দিতে নেমে ৮০ রানে অলআউট হয়েছে রাজশাহী।

১৯২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি রাজশাহী। প্রথম ওভারে ওপেনার জিশান আলমের উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ হারিসের উইকেট হারায় দলটি। চারে নেমে ইয়াসির আলীও হাল ধরতে পারেননি। দলীয় ২০ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
পাওয়ারপ্লের পরপরই আউট হন আকবর আলী। এনামুল হক একাই চেষ্টা চালিয়ে যান। তবে ২১ বলে ২১ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ পাঁচ ব্যাটারদে মধ্যে কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। আর ইনজুরির কারণে ব্যাটিংয়েই নামতে পারেননি জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল। ৮০ রানে অলআউট হয় রাজশাহী।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি চিটাগাং কিংসের। দ্বিতীয় ওভারেই মারকুটে ওপেনার উসমান খানের উইকেট হারায় দলটি। তবে শুরুর ধাক্কা তেমন ক্ষতি করতে পারেনি চিটাগাংয়ের। দ্বিতীয় উইকেটে ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত এনে দেন নাইম ইসলাম এবং গ্রাহাম ক্লার্ক।
আসরে নিজের প্রথম ফিফটির দেয়া পেয়েছেন নাইম ইসলাম। তবে মাত্র পাঁচ রানের আক্ষেপ নিয়ে রান আউট হতে হয়েছে গ্রাহাম ক্লার্ককে। ৩ ছক্কা অ ২ চারে ২৮ বলে ৪৫ রান করেছেন তিনি। ৪১ বলে ৫৬ রান করে দলীয় ১১৯ রানে সানজামুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন নাইম।

ভালো শুরু পেয়েছিলেন মোহাম্মদ মিথুনও। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২০ বলে ৩২ রান করে দলীয় ১৪৪ রানে ফেরেন তিনি।
শেষদিকে হায়দার আলীর ১৪ বলে ২৫ এবং রাহাতুল ফেরদৌসের ৮ বলে ১৬ রানের ক্যামিওতে ১৯১ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় চিটাগাং।

রাজশাহীর হয়ে ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। মোহর শেখ ২ উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে। একটি করে উইকেট গেছে জিশান আলম এবং সানজামুল ইসলামের ঝুলিতে।