কক্সবাজার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপে জেলের জালে ধরা পড়েছে ৫ মণ ওজনের পাখি মাছ। মাছটি ট্রলার থেকে ৭-৮ জন জেলে কাঁধে নিয়ে মিছিল করে করে নিয়ে আসলেন নৌকা ঘাটে। মাছটি দেখতে স্থানীয় ও পর্যটকরা দেখতে চারদিকে হৈ হৈ চিৎকার শুরু করেছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপ উপকূলে জালে ধরা পড়ে ৫ মণ ওজনের বিশাল পাখি মাছটি। মাছের দাম হাঁকানো হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা।
ট্রলারের মালিক মোহাম্মদ রফিক জানান, দুপুরে শাহপরীরদ্বীপ জেটি ঘাটের ফিসারিতে বিক্রি জন্য মাছটি নিয়ে আসা হয়। তবে টেকনাফে পাখি মাছের চাহিদা তেমন না থাকায় মাছটি বিক্রি করা হয় মাত্র ১৫ হাজার টাকায়। এ সময় বিশাল মাছটি এক নজর দেখতে ভিড় জমায় শত শত মানুষ।
ট্রলারের মাঝি জিয়াবুল হক জানান, দুইদিন আগে এফবি রফিক নামের একটি ট্রলার নিয়ে ১৫ জেলেসহ গভীর সাগরে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে যাই। পরে বৃহস্পতিবার সেন্টমার্টিন সংলগ্ন মৌলবি শীল এলাকায় জাল ফেলার পর অন্যান্য মাছের সঙ্গে এই বিশাল পাখি মাছটি ধরা পড়ে। মাছটির ওজন বেশি হওয়ায় ট্রলারে তুলতে তাদের বেগ পেতে হয়েছে। তবে এ মাছের চাহিদা না থাকায় দাম কম পেয়েছেন। তাই তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।
মাছ ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম বলেন, পাখি মাছটি অনেক বড় অনেক বড় এর আগে দেখিনি। আমাদের টেকনাফ অঞ্চলে এই মাছ তেমন পাওয়া যায় না। গভীর সাগরে মাছটির দেখা মেলে। টেকনাফ এলাকায় এসব মাছের তেমন চাহিদা না থাকায় খুব কম দামে বিক্রি হয়েছে। ট্রলারের মালিক ৪৫ হাজার টাকা দাম হাঁকায়। পরে মাছ ব্যবসায়ী সুলতান আহমদ ১৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, এই মাছটি ‘পাখি মাছ’ হিসেবে পরিচিত। এর ওজন পাঁচ মণের বেশিও হয়ে থাকে। সাগরে গভীরে চলাচল করায় এ মাছ তেমন একটা ধরা পড়ে না। এ মাছগুলো অনেক দ্রুত গতির। ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার বেগে দৌড়ায়। তবে এ মাছটি খেতে খুব সুস্বাদু। টেকনাফ এলাকায় এই মাছের চাহিদা না থাকাই ৫ মণ ওজনের বিশাল আকারের মাছটি বিক্রি হল মাত্র ১৫ হাজার টাকায়।