দেশের প্রথম ই-অ্যাওয়ারনেস অলিম্পিয়াড সম্পন্ন

 

আজ ৮ মে, ২০২০ তারিখে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে সাইবার সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা ‘ই-অ্যাওয়ারনেস অলিম্পিয়াড’-এর ফাইনাল রাউন্ড আড়ম্বরপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।এই অলিম্পিয়াডে সেরা বিশ জন হয়েছে ‘সাইবার চ্যাম্প’ যারা পাচ্ছে একটি আকর্ষণীয় ট্যাব, পেন ড্রাইভ, সার্টিফিকেট, টি-শার্ট এবং ব্যাজ।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই তথ্যওযোগাযোগপ্রযুক্তিবিভাগেরতত্ত্বাবধানে ইউএসএইড’রঅবিরোধ: সহনশীলতারপথেকর্মসূচিরসহযোগিতায় ডিনেট ‘উগ্রবাদেরবিরুদ্ধেশিক্ষার্থীদেরজন্যই-সচেতনতা’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের একটি অংশ হিসেবে ডিনেট শিক্ষার্থীদের জন্য www.cyberchamp.com.bdওয়েবসাইটটিতে সাইবার সচেতনতা বিষয়ক আকর্ষনীয় অনলাইন কমিক ও কুইজ তৈরি করেছে।

আজ ৮ মে, ২০২০ তারিখে www.facebook.com/cyberchamp2020ফেসবুক পেইজে লাইভ ইভেন্টের মাধ্যমে দেশের প্রথম ‘ই-অ্যাওয়ারনেস অলিম্পিয়াড’ এর ফাইনাল রাউন্ডটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে বিভিন্ন বাংলা মিডিয়াম, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার প্রায় ৪০০ জন শিক্ষার্থী। ফেসবুকেএই আকর্ষনীয় অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেছে প্রায় ষোলহাজার দর্শক। অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, ইউএসএইড’র ‘অবিরোধ: সহনশীলতার পথে’ প্রোগ্রাম-এর চিফ অব পার্টি জেরোম সায়ার, ইউএসএইড’র গর্ভনেন্স ও সিভিই বিষয়ক উপদেষ্টা রুমানা আমিন এবং ডিনেট এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, এবিএম সিরাজুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি এবিএম সিরাজুল হোসেন ২০ জন ভাগ্যবান প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষনা করেন এবং তাদেরকে অভিনন্দন জানান।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন,

‘আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সচেতনতা শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকতে হবে এবং সচেতনভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমেই একজন শিক্ষার্থী প্রকৃতভাবে একজন দক্ষ জনশক্তি হিসেবে, জনসম্পদ হিসেবে পরিণত হতে পারে।’

অনুষ্ঠানটিতে অতিথিরা জানান, ‘ই-অ্যাওয়ারনেস অলিম্পিয়াড’ উদ্যোগটি সফলভাবে নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাইবার সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে এবং এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সাইবার জগতের নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পেরেছে।