খালাস পেলেন বিএনপি নেতা ফখরুল-খসরু-রিজভী

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ‘দাঙ্গার উসকানি’ দেয়ার মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালত এ আদেশ দেন।

২০১৮ সালের ৬ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম এইচ এম তোয়াহার আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এরপর শুনানিতে বাদীর অনুপস্থিতি এবং পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে বুধবার আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে বলে জানান, বিএনপির সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেসবাহ। তিনি অভিযোগ করেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছিল।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম (১৬) এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজীব (১৭) নিহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেন এবং ঢাকা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করেন।

এতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীরা বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ছাত্র হত্যাকারী চালকের ফাঁসির দাবি, সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি না চলা, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা এবং হাফ ভাড়ার ব্যবস্থাসহ বেশকিছু দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেন। পরবর্তীতে এ আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনকে রাজনীতিকীকরণসহ সারা দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাধানোর জন্য আসামিরা নির্দেশনা বা হুকুম দেন।

অভিযোগ বলা হয়, এরপর ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট আসামি আমীর খসরু ঢাকা শহরসহ সারা দেশে দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কুমিল্লার নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদলের কর্মীদের নামানো এবং ফেসবুকে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেন।

এছাড়া, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর একটি অডিও ক্লিপ সে সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে শোনা যায়, কুমিল্লায় অবস্থানরত নওমী নামে এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। নওমীকে তিনি বলছেন, ঢাকা এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে।

অন্যদিকে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবির রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ছাত্রদলের কর্মীরা ঢুকে পড়ে। এছাড়া, তাদের হুকুমে রাজধানীর উত্তরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে এনা পরিবহনের দুটি বাসে অগ্নিসংযোগ, জিগাতলায় আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর এবং হামলা করে কর্মীদের আহত করা, মিরপুরে মারপিট, হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটায় ছাত্রদল কর্মীরা।