সারাদেশে আ‘লীগের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ সমাবেশ

চট্টগ্রাম বন্দরের টার্মিনাল বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়া আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে বন্দর রক্ষা আন্দোলন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দরের কাস্টমস মোড়ে এ সমাবেশ হয়। এতে ব্যানার নিয়ে অংশ নেন রক্ষা কমিটির সদস্যরা।

বক্তারা বলেন, অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে ৯২ শতাং সম্পন্ন হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। আর বন্দরের ৫৫ শতাং কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করে এনসিটি। দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এ টার্মিনাল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বিদেশীদের হাতে তুলে দিতে। বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিলে বৈদেশিক মূদ্র থেকে বঞ্চিত হবে বন্দর। বাড়বে শ্রমিক অসন্তোষ। বিদেশিদের হাতে তুলে না দেয়া, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রশাসনমুক্ত বন্দর করার দাবি ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

আন্দোলনকারী ও এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সংগঠক রাসেল আহমেদ জানান, এ বন্দর দেশের ফুসফুস। বন্দর নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা। বন্দরে পাশেই নৌ বাহিনীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। বিদেশিদের হাতে তুলে দিলে হুমকির মুখে পড়বে। আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা যাবে না।

এক হাজার কেটি টাকা রাজস্ব আদায় হয় এ টার্মিলা থেকে।দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখা এ টার্মিনাল নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে। বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দিলে বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হবে বন্দর। বাড়বে শ্রমিক অসন্তোষ। দেশের স্বার্থে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জনান তিনি।

আন্দোলনকারী জিয়াউর রহমান বলেন, এ আওয়ামী লীগ এই বন্দর ব্যবহার করে বিদেশিদের মাধ্যমে টাকা বাইরে পাচার করেছে। অঢেল সম্পদ তৈরি করেছে। আমলারা এখনও প্রশাসনে আছে। বন্দরে দোসররা এখনও আছে। তারা বন্দরে যে কোনো সময় অস্থিতিশীল করতে পারে।

বিক্ষোভ সমাবেশে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি ও নাগরিক কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।