অন্তর্বতীকালীন সরকারের কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও কৃষির সাফল্যের মূল কারিগর আমাদের কৃষকেরা। কিন্তু তাদের কোনো মূল্যায়ন হয় না। এটা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কৃষকদের মূল্যায়ন করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর দিলকুশাস্থ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) পরিদর্শনকালে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
মতবিনিময়কালে উপদেষ্টা সার ও বীজ সরবরাহ, সেচ ব্যবস্থা, প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সেবা প্রদান, অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং বিএডিসির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন।
কৃষি উৎপাদন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, কৃষকরা ওই ফসলই চাষ করে যাতে তারা লাভবান হয়। উৎপাদন খরচের তথ্যগত ভুল কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করে। তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। উৎপাদন খরচের সঠিক তথ্য বের করতে হবে। পরিসংখান সঠিক হতে হবে, তাতে কৃষক উপকৃত হবে।
তিনি বলেন, প্রয়োজনের অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহার রোধ করতে হবে। ইউরিয়া সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার জমির দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করে এ বিষয়টি কৃষকদের বোঝাতে হবে। ইউরিয়া সারের ব্যবহার সীমিত করতে হবে। উপদেষ্টা সার ও বীজ সময়মতো কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য বিএডিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, এখন কাজ করার সুন্দর পরিবেশ বিদ্যমান। এই সময়ে ভাল কাজ উপহার দিতে হবে।
তিনি বলেন, আলু বীজের ক্ষেত্রে যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয় খেয়াল করতে হবে। আর্থিক বিধি-বিধান মেনে কাজ করতে হবে।
ছাত্রদের বৈষম্যবিরধী আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ঘুষ, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। ঘুষ ও দুর্নীতি থেকে সরে না এলে আমাদের দেশের উন্নতি হবে না। আমাদের নিজেদেরকে আগে পরিশুদ্ধ হতে হবে। আমরা যাদের করের টাকায় চলি সে সকল জনগণের সেবা করতে হবে।
মতবিনিময় শেষে কৃষি উপদেষ্টা বিএডিসি’র বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং মূল্যবান পরামর্শ প্রদান করেন।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী, বিএডিসির চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ সাজ্জাদ এনডিসি উপস্থিত ছিলেন।