উখিয়ায় ২ জন করোনা রোগী সনাক্ত, আতঙ্কে জনসাধারণ

কায়সার হামিদ মানিক,উখিয়া।
মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে।এমন কোন দিন নেই দেশের কোন না কোন জেলায় আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে না।এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ থেকে প্রতিদিনের ন্যায় করোনা টেস্টের সর্বশেষ আপডেট জানানো হয়।এতে কক্সবাজার জেলায় একদিনে ৬জন করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়।যার মধ্যে ৫জন কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলার এবং অপরজন পাশ্ববর্তী জেলা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বলে জানা যায়।
তবে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া উপজেলায় প্রথম ২জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।যাদের একজন বানু বিবি ও অপরজন শাহ আলম।তাদের বাড়ি উখিয়া হাজীপাড়া ও কোর্টবাজার পশ্চিমরত্না এলাকায়।সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে করোনা আক্রান্ত বানু বিবির বাড়িসহ উখিয়া হাজীপাড়া এলাকার কিছু অংশ ও পশ্চিমরত্নার শাহ আলমের বাড়ি লকডাউন করে জনসাধারণকে উক্ত স্থান থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী।
এসময় তিনি জনসাধারণকে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে এবং সতর্কতার সাথে চলাচলের নির্দেশ দেন।
পরে তাদের রামু হাসপাতালের আইসোলেশনে নেওয়া হয়।
তবে উখিয়াতে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় ভয়ে আতংকে দিন কাটছে জনসাধারণের।দুইজন করোনা রোগীর নাম দিয়েই আক্রান্ত উপজেলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো উখিয়া।
উখিয়া হাজীপাড়ার করোনা আক্রান্ত বানু বিবির ছেলে সম্প্রতি ঢাকা থেকে এসেছে এবং দীর্ঘদিন এই রোগী শ্বাসকষ্টে ভুগতেছে বলে জানা যায়।অপর রোগী শাহ আলম ২-৩দিন আগে বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জেলার এক লোকের সংস্পর্শে হোটেলে বসে পানি পান করেছে বলে জানা যায়। তবে আক্রান্ত দুইজনই কোনো না কোনোভাবে করোনা আক্রান্ত জেলা থেকে আগত লোকজনের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তবে উখিয়ায় এনজিওকর্মীদের চলাফেরা নিয়েও জনমনে আতংক বিরাজ করছে।অধিকাংশ এনজিওকর্মী ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ সহ উত্তরের জেলা থেকে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছে।
তবে উখিয়ার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।