নেক্কারজনক ঘটনায় কঠিন শাস্তি উরুগুয়ের ১৬ ফুটবলারদের

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া কোপা আমেরিকা কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলে উরুগুয়ে। কলম্বিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় লাতিন আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের আসরের শেষ চারের লড়াই থেকে। পরে গ্যালারিতে দর্শকদের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়েছে পড়েন একাধিক ফুটবলার।

নেক্কারজনক সেই ঘটনায় কড়া শাস্তি পেলেন উরুগুয়ের ১৬ ফুটবলার। বর্তমান সময়ে দলটির অন্যতম সেরা তারকা ডারউইন নুনেজকে সর্বোচ্চ ৫ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবল।

ম্যাচ শেষ ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় গ্যালারিতে উঠে আগ্রাসী ভঙ্গিতে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েছেন লিভারপুলের এই উরুগুইয়ান তারকা। ২৫ বছর বয়সী এই তারকাকে সর্বোচ্চ পাঁচ ম্যাচ নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি ২০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানাও করা হয়েছে।

এ ছাড়া মিডফিল্ডার রদ্রিগো বেন্তাকুরকে চার ম্যাচ আর ডিফেন্ডার মাথিয়াস ওলিভেরা, রোনাল্দ আরাউহো এবং জোসে মারিয়া গিমেনেজ তিন ম্যাচ করা হয়েছে। ফলে অংশ নিতে পারবেন না উল্লেখ করা আন্তর্জাতিক ম্যাচে।

এ পাঁচ ফুটবলারকে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ১১ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০ হাজার জরিমানাসহ উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে মার্সেলো গার্সিয়াকে আগামী ৬ মাস আন্তর্জাতিক কোনো প্রতিযোগিতায় স্টেডিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) এক বিবৃতিতে উরুগুয়ের ফুটবলারদের শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে লাতিন ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কনমেবলের গভর্নিং বডি। যদি আগামী ৭ দিনের মধ্যে এ শাস্তির বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ পাবেন উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।

এ ধরনের শাস্তি দলটির জন্য নিশ্চিতভাবে বড় ধাক্কা। কয়েকদিন পরে ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে নামতে হবে লাতিন দলগুলোকে। আপিলে শাস্তির পরিমাণ না কমলে তারকা ফুটবলারদের ছাড়াই খেলতে হবে উরুগুয়েকে।

উল্লেখ, ১১ জুলাই সকালে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে হয় কলম্বিয়া-উরুগুয়ের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। তবে শেষটা হয় হিংসাত্মকভাবে। কলম্বিয়ার কাছে হেরে ফাইনালে উঠতে না পেরে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা।

প্রথমে মাঠে কলম্বিয়ান ফুটবলারদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এরপর ডারউইন নুনেজের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন উরুগুয়ের ফুটবলার গ্যালারিতে গিয়ে কলম্বিয়ার সমর্থকদের উপর হামলা চালান। তাদের ঘুষি মারার দৃশ্য ধরা পড়ে ক্যামেরায়।

সে সময়ই কড়া বার্তা দেয় লাতিন আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। তবে ফুটবলারদের পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান ইগনাসিও আলোনসো। তিনি বলেছিলেন পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করতেই এমনটা করেছেন ফুটবলাররা।

এতে শেষ রক্ষা হলো না উরুগুয়ের ফুটবলারদের। স্টেডিয়ামে মারামারিতে জড়িয়ে কড়া শাস্তি পেলেন তারা।