নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে : কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদ সীমায়

মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই (রাঙামাটি): কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে বিপদসীমার কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ার উপক্রম হয়েছে।

শনিবার (২৪ আগষ্ট) দুপুর ১. ৪০ মিনিটে কাপ্তাই হ্রদে রুলকার্ভ অনুযায়ী পানি থাকার কথা ৯৭ ফুট মীন সী লেভেল(এমএসএল)। কিন্তু পানি আছে ১০৭.৫৩ ফুট এমএসএল। অর্থাৎ হ্রদে বর্তমানে স্বাভাবিকের চেয়ে ১০.৫৩ ফুট এমএসএল পানি বেশি আছে। হ্রদে পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, পানির লেভেল ১০৮ ফুট এমএসএল হলে তাকে বিপদসীমা বলে ধরা হয়। এবং তখন হ্রদের পানি ছাড়তে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর ফলে হ্রদ সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে হ্রদ সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বসবাসরত অনেকের ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দ্রুত সময়ে যদি কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ার ব্যবস্থা করা না হয়, তবে কাপ্তাই হ্রদ সংলগ্ন বহু ঘরবাড়ি ক্ষতির সম্মূখীন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদ সংলগ্ন নিম্মাঞ্চল এলাকায় বসবাসরত কয়েক বাসিন্দা জানান, তাদের অনেকের ঘরবাড়িতে পানি চলে এসেছে। ঘরে পানি ডুকছে। অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সকলের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
এছাড়া কাপ্তাই বাঁধের পানি ছাড়ার বিষয়ে শনিবার(২৪ আগষ্ট) কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, কাপ্তাই হ্রদের গেইট গুলো খুলে দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সবসময়ই কাপ্তাই ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌবাহিনীকে চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়। এরপর তারাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেন। এবারও গেইট খোলার অবস্থা তৈরি হলে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রে ৫টি ইউনিটে দৈনিক ২১৯ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিটের উৎপাদন ক্ষমতা ২৩০ মেগাওয়াট।