হাদিস শরিফে এসেছে, হজরত ওয়াসিলা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা তোমাদের মসজিদকে অবুঝ শিশু ও পাগলদের থেকে দূরে রাখো, তদ্রূপ ক্রয়-বিক্রয়, বিচার-আচার, উচ্চস্বর, দণ্ডদান ও তরবারি কোষমুক্ত করা থেকে বিরত থাকো।’ (ইবনে মাজাহ ৭৫০)
মসজিদ অপবিত্র করে ফেলতে পারে, কেঁদে বা চিৎকার করে অন্যদের নামাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে পারে এ রকম অবুঝ শিশুকে মসজিদে নিয়ে আসা অনুচিত, তবে হারাম বা নিষিদ্ধ নয়। প্রয়োজন পড়লে বা মসজিদ অপবিত্র হবে না এ রকম ব্যবস্থা করা গেলে এ রকম শিশুদেরও মসজিদে নিয়ে যাওয়া যায়।
সাত বছর হলে শিশুদের মসজিদে নিয়ে যাওয়া, মসজিদে যেতে উৎসাহিত করা উচিত। রসুলুল্লাহ (সা.) সাত বছর বয়সী সন্তানদের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিতে বলেছেন, দশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পরও নামাজ না পড়লে শাসন করতে বলেছেন। শিশুরা মসজিদে গেলে তাদের প্রতি স্নেহ দেখানো ও সুন্দর আচরণ করা উচিত যেন তারা মসজিদে যেতে উৎসাহিত হয়। মসজিদে তাদের ধমক দিয়ে ভয় পাইয়ে দেয়া নিন্দনীয় কাজ।
শরিয়তের সাধারণ নিয়ম হলো নামাজের জামাতে আলেম-ওলামা ও বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিরা প্রথম দিকের কাতারে দাঁড়াবে, অল্প বয়স্করা পেছনের কাতারে দাঁড়াবে। কিন্তু কোনো প্রয়োজন দেখা দিলে যেমন পেছনে একসাথে দাঁড় করালে শিশুরা হৈচৈ করবে বা হারিয়ে যাবে এমন আশঙ্কা থাকলে অভিভাবকরা শিশুদের পাশে নিয়ে কাতারের মাঝেও দাঁড়াতে পারেন। শিশুরা কাতারের মাঝে দাঁড়ালে নামাজের কোনো ক্ষতি হয় না বা তাদের পেছনে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের নামাজেরও কোনো সমস্যা হয় না।
কাতারের মাঝে দাঁড়ালে শিশুদের ধমক দেয়া বা ঠেলে পেছনে পাঠিয়ে দেওয়া সুন্নাত পরিপন্থি ও নিন্দনীয় আচরণ। এ রকম আচরণ থেকে সবার বিরত থাকা উচিত।