ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত লেবাননে আশ্রয় নেয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি

লেবাননের ফিলিস্তিনিরা গাজায় ইসরাইলি হামলাকে ক্ষোভের সঙ্গে দেখছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এখন যদি ইসরাইল লেবাননে হিজবুল্লাহর ওপর সর্বাত্মক হামলা চালায় তাহলে ইসরাইলি বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার কথা জানিয়েছেন লেবাননে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনিরা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।

এতে বলা হয়, গাজায় হামলার পরপরই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সংঘাতে জড়ায় লেবাননের যোদ্ধাগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। এ পর্যন্ত গাজায় নৃশংস হামলা চালিয়ে ৩৭ হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছে ইসরাইল। ইসরাইলের হামলায় প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে পুরো গাজা উপত্যকা।

ইসরাইল যদি গাজায় হামলা বন্ধ না করে তাহলে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে হিজবুল্লাহ। লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি হলেই কেবলমাত্র আমরা ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করব। তারা যদি গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করে তাহলে ইসরাইলের ওপর আমরাও হামলা বন্ধ করে দিব।

লেবাননের বৈরুতের শাতিলা ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে প্রতিরোধ আন্দোলনের সাথে জড়িত অনেক ফিলিস্তিনি আল জাজিরাকে বলেছে যে, তারা ভয় পায় না। ইসরাইলের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলে হিজবুল্লাহর সাথে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে লড়াই করতে প্রস্তুত রয়েছে তারা। তবে লেবাননে আশ্রয় নেওয়া ওইসব ফিলিস্তিনিরা তাদের পরিবারের নারী এবং শিশুদের নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তারা বলেছে, ইসরাইল আমাদের এই ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করবে, এখানে আমাদের নারী এবং শিশুরা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বৈরুতের ওই শরণার্থী শিবিরে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

শাতিলায় পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইনের কমান্ড এর সদস্য আহেদ মাহার বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনীর কোনো নৈতিকতা নেই। তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। তারা শিশুদের অধিকার বিবেচনা করছেনা।

লেবানন জুড়ে মোট ১২টি শরণার্থী শিবিরে মোট ২ লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইসরাইলি বাহিনী ১৯৪৮ সালে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, এরপর থেকে বিভিন্ন সময় এসব ফিলিস্তিনিরা লেবাননের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেন। ১৯৪৮ সালের ওই সময়টাকে ‘নাকবা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয় যার অর্থ ‘বিপর্যয়’।