কাবিনের টাকার জন্যই তাঁকে মেরে ফেলে প্রতারক চক্র: নিহতের মামা

বোয়ালখালী প্রতিনিধি |
………………………….
চান্দগাঁও থানা ও নৌ পুলিশের যৌথ অভিযানে গত (১৭ জুন) সোমবার ঈদুল আযহার দিনগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে কর্ণফুলী নদীর হামিদচর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় মো. লোকমান উদ্দীন (৩৪) নামের এক যুবককে।

নিহত লোকমান বোয়ালখালী পৌরসভার পশ্চিম গোমদণ্ডী ৭ নম্বর ওয়ার্ড সৈয়দ মাঝি বাড়ির মো. আবুল কালামের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল ছোট। বড় ভাই প্রবাসী। তবে লোকমানের বাবা আরেকটি বিয়ে করায় তার মা তাদেরকে নিয়ে কধুরখীল ইমাম নগর নাজির দিঘীর পাড় এলাকায় বাবার বাড়িতে চলে আসে।

এ ঘটনায় নিহত লোকমানের মামা মো. দিদারুল আলম বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার চান্দগাঁও থানায় অজ্ঞাত মামলা দায়ের করেন।

তার মামা দিদারুল আলম বলেন, সে চাক্তাই চালের সেলসম্যান ছিলো। কাজের সুবিধার্থে লোকমান সেখানে একটি ব্যাচেলর ভাড়া বাসায় থাকতো। গত ২৫ দিন আগে সে সবার অগোচরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মেয়ের বাড়ি কক্সবাজার হলেও তারা নগরীর রাস্তার মাথা এলাকার গোলাপের দোকান নামক স্থানে বসবাস করতো।

আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক থেকে তার বিয়ের খবরটা জানতে পেরেছি। গত (১২ জুন) বুধবার বিকেল থেকে তাকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। কিন্তু কুরবানের দিন রাতে কর্ণফুলী নদী থেকে সদরঘাট নৌ পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে আমাদের খবর দেয়।

আমরা গিয়ে নিশ্চিত করি যে এটা আমাদের ভাগিনা। পরে ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। ময়না তদন্ত শেষে গতকাল মঙ্গলবার রাতে নানার বাড়ির কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

তার মামা আরো বলেন, ধারণা করছি বিয়ের কাবিনের টাকার জন্যই তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। যাকে সে বিয়ে করেছে তার একটি প্রতারক চক্র আছে বলে ধারণা করছি। প্রতারক চক্রটির কাজ ছেলেদের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে কাবিনের টাকা আদায় করা।

আমার ভাগিনার কাবিননামায় দেখা যায় তিন লাখ টাকা কাবিন ধরা হয়েছে। আমার ভাগিনা তার মামি থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিকাশের মাধ্যমে দিয়েছিল। তবে কোন বিকাশের দোকান থেকে দিয়েছে তা জানা নেই। পরে তাকে ফোন করে মইজ্জারটের এলাকায় যেতে বলে। হয়ত বাকি টাকাগুলো চাওয়ার পর সে দিতে না পারায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

চান্দগাঁও থানার উপ পরিদর্শক পরিমল বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।