মিরসরাইয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যর বাড়িতে ডাকাতি

মিরসরাই প্রতিনিধি : মিরসরাইয়ে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার খইয়াছড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাছিমেরতালুক এলাকায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ২৬ হাজার টাকা ও ৪টি মুঠোফোন নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মিরসরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ডাকাতরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে শিশুসহ পরিবারের ৫ সদস্যকে জিম্মি করে ফেলে৷ ঘরের কর্তা সেনাসদস্য আবু সুফিয়ানকে পরনের লুঙ্গি দিয়ে হাত-মুখ বেঁধে রাখে এবং তার দুই নাতি কান্না করলে তাদের গলা চিপে ধরে। ছেলের বউরা চিৎকার দিলে তাদের থাপ্পড় দেয়৷ এরপর তাঁদের বেঁধে মুঠোফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য সার্জেন্ট মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান বলেন, আমার দুই ছেলে চাকরির সুবাদে চট্টগ্রাম শহরে থাকেন৷ ঘরে দুই ছেলের বউ, দুই নাতি আর আমার সহধর্মিণী ছিলেন৷ ডাকাতদল রাত প্রায় দেড়টা নাগাদ দরজার তালা ভেঙ্গে আমার রুমে ঢুকে কিছু বুঝে উঠার আগে পরনের লুঙ্গি দিয়ে আমার হাত বেঁধে ফেলে৷ ঘরের ভেতর সাতজন ডাকাত প্রবেশ এবং বাহিরে আরও কয়েকজন পাহারায় ছিল। তারা যাওয়ার সময় সব রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে যায় কিন্তু আমার স্ত্রী রুমের দরজা খোলা ছিল।

আবু সুফিয়ান আরও বলেন, ডাকাতরা আমার দুই নাতির গলা চিপে ধরেছে। ছেলের বউরা চিৎকার দিলে তাদের বেধড়ক চড় থাপ্পড় ও মারধর করে৷ ডাকাত দলের সদস্যরা ঘরে থাকা ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ২৫ হাজার ৭০০ টাকা ও ৪টি মুঠোফোন নিয়ে যায়৷

যোগাযোগ করা হলে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান মজুমদার বলেন, ডাকাতির খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি৷ এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি, তবে মৌখিকভাবে জানিয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।

এদিকে একইদিন রাতে উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন ইমামপুর গ্রামের ছদরমাদিঘী এলাকার মা এগ্রো খামার থেকে ৭টি গরু চুরি হয়েছে।

খামার মালিক রাসেল বিন আলী নেওয়াজ বলেন, তিলে তিলে গড়ে তোলা গরুর খামার থেকে গতরাতে ৫টি গরু, সাথে চাচাতো ভাইয়ের ২টিসহ ৭টি গরু নিয়ে গেছে চোর। এই ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।