প্রায় তিন দশকের অপেক্ষা ঘোচাতে জয়ের বিকল্প ছিল না। দুই দফায় এগিয়ে যাওয়ার পরও ফিকে হয়ে আসছিল স্কটল্যান্ডের আশা। বারবার রঙ বদলের ম্যাচে, যোগ করা সময়ে দুই গোল করে ডেনমার্কের হৃদয় ভেঙে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল স্কটিশরা।
ঘরের মাঠ হ্যাম্পডেন পার্কে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বাছাইপর্বের শেষ রাউন্ডে ডেনমার্কের বিপক্ষে স্কটল্যান্ড জিতেছে ৪-২ গোলে।

১৯৯৮ আসরের পর আগামী বছর আবার বিশ্বকাপে দেখা যাবে স্কটল্যান্ডকে। ডেনমার্ককে খেলতে হবে প্লে-অফে।
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপের চূড়ায় থেকে এই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ডেনমার্ক। ড্র করতে পারলেই সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিত তারা। অনেকটা সময় একজন কম নিয়ে খেলে, লক্ষ্য পূরণের খুব কাছে গিয়েও পারল না ডেনিশরা।
৬ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা স্কটল্যান্ড। তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ডেনমার্কের ১১ পয়েন্ট। বিদায় নিয়েছে গ্রিস (৭ পয়েন্ট) ও বেলারুশ (২ পয়েন্ট)।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে বক্সে বাইসাইকেল কিকে স্কট ম্যাকটমিনের চোখধাঁধানো গোলে এগিয়ে যায় স্কটল্যান্ড। প্রথমার্ধে গোলের জন্য ওই একটি শটই শুধু নিতে পারে তারা। এই সময়ে ডেনমার্ক ১০টি শট নিলেও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি একটিও।
প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ হাতছাড়া করা গাসমুস হয়লুন ৫৭তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতায় ফেরান ডেনমার্ককে। প্রতিপক্ষের গুস্তাভ ইসাকসেনকে স্কটল্যান্ডের অ্যান্ডি রবার্টসন ফাউল করায় পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।
তিন মিনিট পরই বড় ধাক্কা খায় ডেনমার্ক। জন ম্যাকগিনকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার রাসমুস ক্রিস্তেনসেন।
৭৮তম মিনিটে লরেন্সের গোলে আবার এগিয়ে যায় স্কটল্যান্ড। ৮১তম মিনিটে ডেনমার্ক দ্বিতীয়বার সমতা ফেরায় পাত্রিক দোরগুর গোলে।
নাটকীয়তার তখনও ঢের বাকি। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে স্কটল্যান্ডকে আবার এগিয়ে নেন কিয়েরান টিয়েরনি। আর অষ্টম মিনিটে মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে শটে দর্শনীয় গোলে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন কেনি ম্যাকলিন। এগিয়ে থাকা গোলরক্ষক বলের নাগাল পাননি।











