মশা নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলরদের আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে

নগরের মশা নিয়ন্ত্রণে গবেষণার জন্য গবেষণাগার চালুর ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এপ্রিলের মধ্যে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের ৮ম তলায় পরীক্ষাগারটি চালু করা হবে বলে জানান তিনি৷

শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে মশা কমাতে মহেশখাল পরিষ্কার করার মাধ্যমে ক্রাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন মেয়র৷ এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হালিশহরের ফইল্যাতলী বাজার সংলগ্ন মহেশখালে মূল কার্যক্রম শুরু হয়৷ দুপুর থেকে কালা তেল, নাফতা মিশ্রিত মাস্কুবান ও লার্ভিসাইড মহেশখালে ছিটানো হয়৷ এছাড়া বিকাল থেকে কচুরিপানা অপসারণ ও ফগার মেশিনের মাধ্যমে এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হয়৷ প্রোগ্রামে প্রায় দেড়শজন স্প্রেম্যান, ফগার অপারেটর, পরিচ্ছন্নকর্মী অংশ নেয়৷

এ সময় মেয়র বলেন, ৪১টি ওয়ার্ডেই নিয়মমাফিক মশার ওষুধ ছিটানোর পরও দেখা যাচ্ছে হালিশহরসহ কয়েকটি ওয়ার্ডে মশা কমছে না।
অথচ একই ওষুধে অন্যান্য এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে আছে৷ এতে ধারণা করছি বিদ্যমান ওষুধের প্রতি কিছু প্রজাতির মশার হয়তো প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছে৷

এপ্রিলের মধ্যে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ের ৮ম তলায় মশা নিয়ে গবেষণার জন্য পরীক্ষাগারটি চালু করা হবে৷ আমরা প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মশার লার্ভা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখব কোন ধরনের ওষুধ কোন ধরনের মশার জন্য কার্যকর৷ এরপর গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক ওষুধ ছিটানো এবং কার্যক্রম গ্রহণ করব৷

মশা কমাতে কাউন্সিলরদের ভূমিকা রাখা দরকার মন্তব্য করে মেয়র বলেন, ওয়ার্ড পর্যায়ে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে কাউন্সিলররা তদারকি করছেন৷ তবে সামনে যেহেতু ডেঙ্গুর মৌসুম তাই মশা নিয়ন্ত্রণে কাউন্সিলরদের আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে৷ কারণ, সচেতনতা ও মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে কাউন্সিলরদের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মো. ইসমাইল, মো. ইলিয়াছ, আবদুল মান্নান, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমি, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদ আলম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, জোন কর্মকর্তা আলী আকবর।