লালখানবাজারে সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জনের রিমান্ড

নগরের লালখানবাজার এলাকায় সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগ নেতার অফিস ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন আসামির এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (০৮ জুলাই) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালত এ আদেশ দেন।

রিমান্ডের আদেশ পাওয়া তিন আসামি হলো- সবুজ মিয়াজী, মো. শাহজাহান ও মো. আলী।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, লালখানবাজার এলাকায় সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগ নেতার অফিস ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় তিন আসামিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে খুলশী থানা পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেকের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ০৪ জুলাই এ মামলায় ২৭ আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

কারাগারে পাঠানোর আদেশপ্রাপ্ত ২৭ আসামি হল- আরিফুল হানিফ, মো. তৈয়ব, মো. কাদের, ডিস সালাহউদ্দিন, তাহের, মো. শামীম, সবুজ মিয়াজী, মো. শাহীন, মো. সুমন, মো. শাহজাহান, মো. আমজাদ হোসেন, মো. আলী, শওকত হোসেন, মহিন, মোক্তার হোসেন, মো. কাউছার, মো. হোসেন সেলিম, শরিফ, মাসুদ রানা, ইব্রাহিম, দ্বীন ইসলাম, তাজউদ্দিন, মো. শরিফ, মো. সুরুজ, মঙ্গল, আলমগীর ও শওকত।

গত ২৮ জুন রাতে ও ২৯ জুন বিকেলে দুই দফায় সংঘর্ষে জড়ায় লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলালের অনুসারীরা। পরে সংঘর্ষের ঘটনার জন্য উভয় নেতা একে অপরকে দায়ী করেন। সংঘর্ষের সময় বেলালের অনুসারীরা দিদারুল আলম মাসুমের অফিস ভাংচুর করে।