কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে মাদক কারবারীরা, রেহাই পাচ্ছে না চুনোপুঁটি থেকে শুরু করে রাঘববোয়াল ইয়াবা সম্রাটরা। তারাই ধারাবাহিকতায় রবিবার ৭ জুলাই বিকালে সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বোয়াল খালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইসলামপুরের শীর্ষ মাদক সম্রাট বেলাল উদ্দীন প্রকাশ চোরা বেলাল (২২) কে ইয়াবা বিক্রি কালে আটক করেন। সে ইসলামপুর ইউনিয়নের ধর্মের ছড়া এলাকার আবুল বাসার ভুট্টো’র ছেলে। সে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল। এদিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈদগাঁহ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ওসি তদন্ত মোঃ আসাদুজ্জামানের নির্দেশে এসআই আবু বকর ছিদ্দিক, এএসআই বিলাস সরকারসহ সঙ্গীয় ফোর্স বোয়ালখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেলাল উদ্দীনকে ১১০ পিস ইয়াবাসহ হাতে নাতে আটক করে। পরে বেলালের স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার সহযোগী আরেক ইয়াবা সম্রাট টেকনাফ হ্নীলার পানখালী এলাকার মৃত মোঃ আলমের ছেলে মোঃ কাইছার (২২) কে ঈদগাঁহ বাসস্ট্যান্ডস্থ শ্যামলী কাউন্টার থেকে ৫৫ পিস ইয়াবা সহ আটক করে এএসআই বিলাস সরকার ও এএসআই মহিউদ্দিন। আটককৃত কাইছার দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের আওয়ালিয়াবাদ এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই হিসেবে বসাবাস করত। ঈদগাঁহ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, আটককৃতরা চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে পুলিশের কাছে তথ্য ছিল। এদিন পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক কাইছার দীর্ঘদিন শ্যামলী বাসের কাউন্টারের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি বৃহত্তর ঈদগাঁহতে ইয়াবার একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। সিন্ডিকেটের সদস্যদের মাধ্যমে গ্রাম-গঞ্জে মাদকের আগ্রাসন বাড়িয়ে দেয়। এদিন তার স্বীকারোক্তিতে ঈদগাঁহর বিভিন্ন এলাকার নামীদামি রাজনৈতিক নেতাসহ বেশ কিছু ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে বলে জানান ইনচার্জ। পর্যায়ক্রমে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনাসহ মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।