কক্সবাজার-১ আসনে জেনারেল(অব:) ইবরাহিম নির্বাচিত

পেকুয়া প্রতিনিধি:: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে সাধারণ ভোটাররা ব্যালট বিপ্লব ঘটিয়েছে। আর সুষ্ঠু নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোট শেষ হওয়ার মাত্র ৫০ মিনিট পূর্বে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম।

নির্বাচনে বিজয়ী করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীককে। চকরিয়া সর্বত্র আনন্দের বন্যা বইছে।

রবিবার ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যথানিয়মে কক্সবাজার ১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে অন্যান্য আসনের মতো সকাল ৮ থেকে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে এই ভোটগ্রহণ চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে সাধারণ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। এই আসনের ভোটাররা ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমকে পরাজিত করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম কে বিজয়ী করে।

সাধারণ ভোটাররা জানান, গত পাঁচ বছরের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তারা তাদের রায় দিয়েছেন।

চকরিয়া পৌরসভার ৫ নাম্বার ওয়ার্ডের ভোটার রফিকুল ইসলাম, সুমন, আবুল হোসেন বলেন -সুষ্ঠু নির্বাচনে বেলেটের মাধ্যমে নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমরা রায় দিয়েছি। সৈয়দ ইবরাহিমের মতো একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নির্বাচিত করতে পারায় আমরা নিজেদের সৌভাগ্যবান ভোটার মনে করছি।

সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন, মানিক, কাশেম ও মাহমুদ বলেন —সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা একজন অত্যাচারী মানুষকে পরাজিত করেছি। একজন দেশপ্রেমিক দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে আমরা নির্বাচিত করেছি। বিগত দিনে আমাদের উপর যে নির্যাতন হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, বিগত পাঁচ বছর চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে। অনেকের চিংড়ি প্রকল্প দখল করে রাখা হয়েছিল। সবগুলো উদ্ধার করা হবে।

চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম নির্বাচন শেষ হওয়ার মাত্র ৫০ মিনিট পূর্বে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সাধারণ ভোটাররা তার এই নাটক বুঝতে পেরেছে। তার জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষ রায় দিয়েছে। আমরা আশা করি আগামী পাঁচ বছর এই অঞ্চলের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। কারো জায়গা জমি চিংড়ি প্রকল্প দখল হবে না।