ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্বল কাঠামোকে দায়ী করলেন জয়াবর্ধনে

বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জন্য শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামোকে দায়ী করেছেন দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও পরামর্শক মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং কোচ ক্রিস সিলভারউড। ঘরোয়া ক্রিকেটে স্লো উইকেটে খেলার কারণে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি লঙ্কানরা। এছাড়াও বিশ্বকাপের আগে এলপিএল খেলার কারণে ইনরজুরিতে পড়েন অনেক তারকা ক্রিকেটার। সময়মত তাদের না পাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্টকে। ভবিষ্যতে এমন ভরাডুবি এড়াতে এখন থেকেই পরিকল্পনার তাগিদ দিয়েছেন জয়াবর্ধনে ও সিলভারউড।
ভারত বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফেরা প্রথম দল শ্রীলঙ্কা। ১৯৯৬ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের এবারের বিশ্বকাপটা ছিলো দু:সহ। বিশ্বকাপের আগে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা সহ একের পর এক তারকা ক্রিকেটাররের ছিটকে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছিলো লঙ্কানরা। বিশ্বকাপেও তার প্রভাব ছিল স্পষ্ট। আসরে মাত্র ২ জয় নিয়ে নয় নম্বরে থেকে শেষ করতে হয়েছে বিশ্বকাপ অভিযান। বাজে পারফরম্যান্সে বোর্ড কর্তাদের কাঠগড়ায় তোলে দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

এতে করে অন্ধকারে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে আইসিসির নিসেধাজ্ঞায় শ্রীলঙ্কা। চলছে ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধা্ন। বাজে পারফরম্যান্সের দায় এড়াতে পারেন না কোচ ক্রিস সিলভারউড, পরামর্শক মাহেলা জয়াবর্ধনেও। তবে, বিশ্বকাপ ব্যর্থতার দায় ক্রিকেটারদের দিতে চান না দেশটির কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও পরামর্শক জয়াবর্ধনে। এজন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্বল কাঠামোকে দায়ী করেছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কা দলের পরামর্শক মাহেলা জয়াবর্ধনে বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটারদের দক্ষতার জায়গাটা কোথা থেকে তৈরি হয়? ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে। আমাদের ঘরোয়া লিগে স্লো উইকেটে খেলা হয়ে থাকে। কিন্তু বিশ্বকাপে গেলে সেখানে আলাদা উইকেট। ফলে দীর্ঘদিনের অভ্যস্ত হয়ে থাকা উইকেট থেকে আলাদা জায়গায় খেলা হলেই বিপত্তি। আর এটাই হয়েছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উন্নতি করতে চাইলে ঘরোয়া কাঠামোতে পরিবর্তন আনতে হবে।’

শুধু উইকেটই নয়, বিশ্বকাপের আগে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলায় অনেক ক্রিকেটারই ইনজরিতে পড়েছিলো। যার ফল ভোগ করতে হয় শ্রীলঙ্কাকে। ভবিষ্যতে বাজে পরিস্থিতি এড়াতে এখন থেকেই সতর্ক হওয়ার তাগিদ কোচ ক্রিস সিলভারউডের। তার ওপর আনা অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন সিলভারউড।

লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউড বলেন, ‘বিশ্বকাপে শুধু শ্রীলঙ্কা নয় র‍্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা অনেক দলেরই বাজে কেটেছে। আমাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সত্যি নয়। বিশ্বকাপের আগে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলার কারণে অনেক ক্রিকেটার ইনজুরিতে পড়েছিলো। সেখান থেকে সময়মত সুস্থ হতে পারেনি তারা। যার প্রভাব দলের ওপর পড়েছিলো।’

এছাড়াও পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটায় ৩০০-র বেশি রান করার পরেও হেরে যাওয়ার কারণে মানসিকভাবে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি লঙ্কানরা।