মাঠের পারফরম্যান্সে সময়টা ভালো কাটছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নাজমুল হোসেন শান্ত’র দল কোনো ম্যাচই জিতেনি। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটেই ব্যস্ত ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। তাদের আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা শুরু হয়েছে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্ট দিয়ে। সেই ম্যাচে হেরে স্বাগতিক বাংলাদেশ দুই ম্যাচের সিরিজ শুরু করেছে। হারের ম্যাচজুড়েই দর্শকখরা দেখা গেছে সিলেটে।
মূলত বাংলাদেশ দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে হতাশ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সিলেট টেস্ট শেষে চট্টগ্রামে উড়ে গেছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে দল। আগামীকাল (সোমবার) থেকে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে (সাবেক জহুর আহমেদ) তাদের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। এই ম্যাচ ঘিরেও সমর্থক অনুপস্থিতির শঙ্কা থেকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ২৭ এপ্রিল (রোববার) সিমন্স বলেন, ‘(সমর্থকদের) অবশ্যই ধৈর্য ধরতে বলব। বিশেষ করে বাংলাদেশের ভক্তদের। আমি জানি সবার খেলার প্রতি প্যাশন ও ভালোবাসা কত বেশি এখানে। সবাই চায় বাংলাদেশ আরও ভালো করুক। তবে আমি অনুরোধ করব ধৈর্য ধরতে। আমরা চেষ্টা করছি সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা করতে।’
দেশের ক্রিকেটে অবশ্য এখন মাঠের বাইরের ইস্যুই বেশি আলোচিত। ডিপিএলে তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি কিংবা বিসিবির আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে চলমান বিতর্ক জাতীয় দলের ক্রিকেটারদেরও প্রভাবিত করতে পারে। তবে তাদের এসবের বাইরে রাখার কথা জানিয়ে সিমন্স বলেন, ‘কোচ হিসেবে আমরা চেষ্টা করি তাদেরকে এসব ব্যাপার থেকে দূরে রাখতে। আমরা টেস্ট ম্যাচ খেলছি। সামনে ফাইনাল মিটিং (ম্যাচ) আছে। আমরা এখানেই মনোযোগ ধরে রাখতে চাচ্ছি। এর বাইরে বেশি কিছু ভাবতে চাচ্ছি না।’