মুনমুন

২০০০ সালের কথা। সেই সময় সিনেমায় কাজ করা নিয়ে তুমুল ব্যস্ত চিত্রনায়িকা মুনমুন। তিনি তখন বাণিজ্যিক সিনেমায় কাজ করা নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকলেও তার মনে মনে ইচ্ছে ছিল সাহিত্যনির্ভর সিনেমায় কাজ করার। কিন্তু সেই সময় এ সুযোগ না থাকলেও সাহিত্যনির্ভর একটি কাহিনীচিত্রে কাজ করেছিলেন মুনমুন। প্রয়াত কাজী শাহেদ আলীর ছোটগল্প ‘ফসল তোলার কাহিনী’ অবলম্বনে বিবেশ রায় নির্মাণ করেন কাহিনীচিত্র ‘ধানের কাব্য’। সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর বাজারের আশে পাশে এই কাহিনীচিত্রের শুটিং হয়েছিলো। কাহিনী এবং নির্মাণের নেপথ্য গল্প শুনে মুনমুন এই কাহিনীচিত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কাহিনীচিত্রটি নির্মাণের পর দেশে বিদেশে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।

মুনমুনও ব্যতিক্রমধর্মী এই কাহিনীচিত্রে একজন সাধারণ গ্রাম্যবধূর চরিত্রে অভিনয় করে দারুণ আলোচনায় এসেছিলেন। এই সময়ে এসেও মুনমুন ধান্যের কাব্য’র প্রাসঙ্গিকতা টানেন। তিনি বলেন, সত্যি বলতে কী দীর্ঘদিনের সিনেমার পথ চলায় অনেক ধরনের গল্পেই অভিনয় করেছি। কিন্তু ধানের কাব্য’র মতো সাহিত্যধর্মী সিনেমায় আমার কাজ করা আর হয়ে ওঠেনি। এর নির্মাতা বিবেশ দাদার সঙ্গে পরবর্তীতে যোগাযোগও হয়েছিলো এই ধরনের কাজ করার। কিন্তু দাদাও আর এই ধরনের সাহিত্যধর্মী কাজ করেননি, আমারও করা হয়ে উঠেনি। তবে এই ধরনের সাহিত্যধর্মী কাজ করতে আবারও ইচ্ছে করে খুব। এদিকে আজ মুনমুনের জন্মদিন। এ দিনে সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, জন্মদিনে সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ্‌ যেন আমাকে, আমার পরিবারের সবাইকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন। অন্যদিকে মুনমুন এরইমধ্যে প্রায় শেষ করেছেন মিজানুর রহমানের ‘রাগী’ সিনেমার কাজ। এই সিনেমায় তিনি মহারানী ভিক্টোরিয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন। মুনমুন অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘মেঘকন্যা’। সর্বশেষ দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর ‘৫২ থেকে ৭১’ এবং ড্যানি সিডাকের ‘কাঁসার থালায় রূপালী চাঁদ’ সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন এ নায়িকা। দু’টিই সরকারী অনুদানের সিনেমা। ১৯৯৭ সালে এহতেশাম পরিচালিত ‘মৌমাছি’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করলেও পর্দায় মুনমুনের অভিষেক হয় জীবন রহমান পরিচালিত ‘আজকের সন্ত্রাসী’ সিনেমার মধ্যদিয়ে। এখন পর্যন্ত এ অভিনেত্রী নব্বইটিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন।