ইউরিক অ্যাসিড কমায় যেসব খাবার

মানব দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষায় ইউরিক অ্যাসিডের ভূমিকা অপরিসীম। তবে কিছু কিছু কিছু খাবার খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যায়। আর মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমা হয়ে গেলে শরীরে গেঁটে বাত বা গিরায় ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি অকেজো হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই শরীরের ইউরিক এসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।

ভালো খবর হচ্ছে আমরা খাবার খেয়ে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারি। তাই চলুন জেনে নিই কি কি খেলে ইউরিক অ্যাসিড কমবে-

ফাইবার জাতীয় খাবার
শাক-সবজির মধ্যে ফাইবার ভরপুর। যেমন: ডাল, ফলমূল, শাকসবজি, ওটস ও বার্লি, মটরশুঁটি, শিম ও বিন জাতীয় খাবার ইত্যাদি।

টক জাতীয় খাবার
সাধারণত টকজাতীয় খাবার খেলে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে থাকে। যেমন: কমলা লেবু, পাতি লেবু, মরিচ ইত্যাদি।

গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে ক্যাচিন উপস্থিত যা প্রোটিন জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এটি আমাদের ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে।

বাদাম
বিশেষ ধরনের, মানে ব্রাজিলে উৎপাদিত বাদাম, আমন্ড, ম্যাকাডেমিয়া বাদাম ও আখরোটে সাধারণত পিউরিনের পরিমাণ কম থাকে, যা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে সাহায্য করবে। ব্রাজিলে উৎপাদিত বাদামে পিউরিনের পরিমাণ মাত্র ৪০ মিলিগ্রাম। তবে রাস্তায় আমরা সচরাচর যে বাদামগুলো দেখতে পাই, ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ, প্রতি কাপে সেগুলোতে পিউরিনের পরিমাণ ৮০ মিলিগ্রাম।

অলিভ অয়েল
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। অলিভ অয়েলে রয়েছে প্রদাহরোধী ক্ষমতা। তাই ইউরিক অ্যাসিডের প্রদাহ থেকে বাঁচতে সবজি, সালাদ ও পাস্তাতে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।