৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স সেপ্টেম্বরে

প্রবাসী আয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে গত মাসে। সেপ্টেম্বরে ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। চলতি মাস অক্টোবরে এই খরা কাটার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অক্টোবরের প্রথম ছয় দিনে ৩২ কোটি ৫১ লাখ ৪০ হাজার ডলার এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, এই ছয় দিনে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। রেমিট্যান্স আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আশা করা হচ্ছে প্রায় ১৬৮ কোটি ডলার বা ১৮ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা।

এর আগে সদ্য বিদায়ী সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এটি গত ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। এর আগে গত ২০১৯ সালের মে মাসে ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ২০ হাজার ডলার এসেছিল।

যদিও গত দুই বছরে কাজের জন্য দেশের বাইরে গেছেন ২০ লাখ প্রবাসী কর্মী।

অর্থাৎ দেশের বাইরে প্রবাসী বাড়ছে, অথচ রেমিট্যান্স কমছে দিন দিন।
এর আগে গত জুলাই মাসে ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের (১.৯৭ বিলিয়ন ডলার) রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগস্টে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়। গত জুন মাসে রেকর্ড পরিমাণ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার (২.১৯ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। একক মাস হিসেবে যা ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড প্রবাসী আয় এসেছিল।

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এযাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।