আদা পানিতে নিরাময় হবে যেসব রোগ

আদা কাচা কিংবা রান্না সবভাবেই খাওয়া যায়। আবার অনেক রোগের ঘরোয়া সমাধান হিসেবেও কাজ করে। আদার গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদ এবং হোমিওপ্যাথিতেও এর ঠাই হয়েছে। আদা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যের পাওয়ার হাউস, যা আপনার ত্বক, চুল এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো।

তাই চলুন জেনে নেই আদা পানি খেলে কী কী উপকার মিলবে-

কোলেস্টেরল লেভেল কমায়
শরীরে উচ্চ মাত্রায় এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। আদা পানি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের রোগ ও স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিও কমে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন আদা খান তাদের শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে আদা পানি।

আদা জল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ আদার জল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ, যা ফ্রি ব়্যাডিকেলের হাত থেকে আমাদের শরীরকে বাঁচায় এবং ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
আদায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাই, প্রতিদিন আদার পানি পান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা ও ফ্লু-র চিকিৎসায়ও দারুণ কাজ করে।
আরও পড়ুন: সকালে পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা

ওজন কমায়
নিয়মিত আদার পানি পান শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতে দারুণ কার্যকর। এটি দ্রুত চর্বি কমায়। খাবার ইচ্ছেও নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আদা দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা খাবার ইচ্ছে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে দ্রুত ওজন বাড়তে থাকে। আদার পানি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং খাওয়ার ইচ্ছে কমায়।

চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী
ত্বকের নানা সমস্যা দূর করে আদা পানি। ত্বক উজ্জ্বল করে এবং টানটান রাখে আদা। ত্বকে রিঙ্কেলস পড়তে দেয় না। আদার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ত্বককে সমস্ত ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। ত্বককে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে বাঁচায় এবং ত্বক সুস্থ ও পরিষ্কার রাখে। এ ছাড়া, আদায় ভিটামিন এ এবং সি-এর উপস্থিতি চুলের গঠন উন্নত করে। রক্ত পরিষ্কার রাখে।

হজম শক্তি বাড়ায়
দিনে একবার আদা পানি খেলে পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে এবং বদহজম, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অ্যাসিডটি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। হজম ক্ষমতা আরও উন্নত হয়।