কক্সবাজারের ৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও

সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও, কক্সবাজার: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল এনেছে সরকার। জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পর এবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই পরিবর্তনের অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলার সাতটি উপজেলায় একযোগে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদায়ন করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপ-সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে দেশের মোট ১৬৬টি উপজেলায় ইউএনও রদবদলের আদেশ জারি করা হয়।

প্রথম ধাপের এই রদবদলে কক্সবাজারের পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, মহেশখালী, টেকনাফ, রামু ও সদর উপজেলায় নতুন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে কুতুবদিয়া ও উখিয়া উপজেলায় নতুন কাউকে পদায়ন করা হয়নি।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, কক্সবাজারের সাত উপজেলায় পদায়নকৃত নতুন ইউএনওগণ হলেন, কক্সবাজার সদর উপজেলায় রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম, পেকুয়ায় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহবুব আলম মাহবুব, রামু উপজেলায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. ফজলে রাব্বানী চৌধুরী, চকরিয়ায় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শাহীন দেলোয়ার, মহেশখালীতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইমরান-মাহমুদ-ডালিম, ঈদগাঁও-এ বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব মীর কামরুজ্জামান কবির, টেকনাফে ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মো. ইমামুল হাফিজ নাদিম।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে প্রশাসনে এই রদবদল করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদানের পাশাপাশি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতাও প্রদান করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, তারা ‘দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮’-এর সেকশন ১৪৪ অনুযায়ী অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। নির্বাচনের আগে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এই ক্ষমতা বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা আটটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে বদলিকৃত কর্মকর্তাদের আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশে কঠোরভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যোগদান না করলে ৩০ নভেম্বর বিকেল থেকেই তারা বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ড রিলিজ) হিসেবে গণ্য হবেন।

এছাড়া, বদলি হওয়া কোনো কর্মকর্তার দপ্তর বা কর্মস্থল যদি ইতোমধ্যে পরিবর্তিত হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তিনি তার বর্তমান দপ্তরের নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে যোগদানপত্র দাখিল করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।