পাকিস্তানে বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৪৪, নেপথ্যে থাকতে পারে দায়েশ

পাকিস্তানে মাওলানা ফজলুর রেহমানের জমিয়তে উলেমায়ে ইসলাম ফজলের (জেইউআইএফ) কর্মী সম্মেলনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৪৪। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩০ জন। এ ঘটনায় পুলিশ সোমবার বলেছে, প্রাথমিক তদন্তে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, এই হামলার নেপথ্যে আছে সন্ত্রাসী সংগঠন দায়েশ। আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে বাজাউর এলাকায় রোববার সম্মেলন ও র‌্যালি চলছিল জেইউআইএফের। সেখানে আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। এতে বাজাউর ও আশপাশের এলাকায় হাসপাতালগুলোতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ অফিসার নাজির খান। আহতদের মধ্যে সংকটজনক অবস্থা যাদের, তাদেরকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে বাজাউর থেকে পেশোয়ারে নেয়া হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বলছে, এখনও তদন্ত চলছে। তারা তথ্য সংগ্রহ করছেন। তারা আত্মঘাতী হামলাকারীর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।

ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। নাজির খান বলেছেন, সন্দেহজনকভাবে তিনজনকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।
নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিকে তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে ইসলামাবাদের অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভেঙে যায় গত বছর। তারপর থেকেই দেশটিতে বিদ্রোহী হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর শুরুর দিকে পেশোয়ারে একটি মসজিদে বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি জমা দেয়া এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকতে পারে টিটিপি। এর মধ্য দিয়ে তারা একটি অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কাজ করতে পারে। যার অধীনে দক্ষিণ এশিয়ায় সব রকম মিলিট্যান্ট গ্রুপ থাকবে।