ইরানি কর্তৃপক্ষ চলচ্চিত্র উৎসব নিষিদ্ধ করে দিলো

ইরানি কর্তৃপক্ষ দেশের একটি চলচ্চিত্র উৎসব নিষিদ্ধ করে দিলো। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, চলচ্চিত্র উৎসবের প্রচারের সময় একটি পোস্টারে যে অভিনেত্রীর মুখ ফুটে উঠেছে তিনি হিজাব পরে ছিলেন না। ইরানি শর্ট ফিল্ম অ্যাসোসিয়েশন (আইএসএফএ) ১৯৮২ সালের দ্য ডেথ অফ ইয়াজগার্ডে ইরানি অভিনেত্রী সুসান তসলিমিকে আসন্ন শর্ট-ফিল্ম উৎসবের জন্য প্রচারের মুখ হিসেবে তুলে ধরে। কিন্তু পোস্টারে অভিনেত্রী সুসান হিজাব ছাড়া ছিলেন। তাই এই পদক্ষেপ নিলো ইরান কর্তৃপক্ষ।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা, IRNA এর রিপোর্ট মোতাবেক: “আইন লঙ্ঘন করে পোস্টারে হিজাববিহীন একজন নারীর ছবি ব্যবহার করার পরে আইএসএফএ চলচ্চিত্র উৎসবের ১৩ তম সংস্করণ নিষিদ্ধ করার জন্য সংস্কৃতি মন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে একটি আদেশ জারি করেছেন।” সেপ্টেম্বরে এই চলচ্চিত্র উৎসব হবার কথা ছিল। ইসলামিক বিপ্লবের চার বছর পর ১৯৮৩ সাল থেকে ইরানে নারীদের জন্য মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে বাধ্যতামূলক হিজাব পরিধান বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানি নারীরা কঠোর পোশাকের নিয়মকে ক্রমবর্ধমানভাবে লঙ্ঘন করেছেন। ২২ বছর বয়সী ইরানী নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর কারণে ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল, আমিনিকে পোষাক কোড লঙ্ঘনের অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল। এই মাসের শুরুর দিকে পুলিশ বলেছিল যে আইন উপেক্ষাকারী নারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ পুনরায় অভিযান শুরু করেছে।

বিচার বিভাগ সংক্রান্ত মিজান অনলাইন ওয়েবসাইট শনিবার গভীর রাতে বলেছে যে নারী কর্মচারীদের মাথা না ঢেকে রাখার ছবি ব্যবহার করার জন্য ই-কমার্স কোম্পানি ‘ডিজিকালার’ বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বুধবার, তেহরানের একটি আদালত বিশিষ্ট অভিনেতা আফসানেহ বায়েগানকে একটি পাবলিক ইভেন্টে হিজাব না পরার জন্য দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়।এর পাশাপাশি বায়েগানকে মানসিক ব্যাধির চিকিৎসার জন্য একটি মনস্তাত্ত্বিক কেন্দ্রে সাপ্তাহিক পরিদর্শন করার এবং চিকিৎসার পরে একটি স্বাস্থ্য শংসাপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র : দা গার্ডিয়ান