সৌদির পাহাড়গুলো হীরা-পান্নায় ভরা: গবেষণা

সৌদি আরবের উঁচু পাহাড়গুলো মূল্যবান পাথরে ভরা বলে এক গবেষণায় জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলের পাহাড়গুলোতে অনেক ধরনের মূল্যবান এবং আধা-মূল্যবান পাথর রয়েছে। কিছু গবেষণায় হীরা, নীলকান্তমণি এবং পান্নার মতো বিরল পাথরের উপস্থিতিও পাওয়া গেছে।

আরব নিউজকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন সৌদি আরবের রত্নপাথর শিল্পের বিশেষজ্ঞ নওয়াফ আল-লুহাইবি। তিনি বলেন, ‘সৌদি পেরিডট এবং সৌদি স্ক্যাপোলাইট বিশ্বের একই ধরনের পাথরের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর, খাঁটি এবং উচ্চ মানের রত্ন।’

সৌদি অ্যাগেট, গারনেট, অ্যামাজোনাইট, অ্যামেথিস্ট, সিট্রিন, স্মোকি এবং গোলাপসহ সব ধরনের কোয়ার্টজ বিভিন্ন অঞ্চলে পাওয়া মূল্যবান রত্নের মধ্যে রয়েছে।

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের জলবায়ু গরম এবং শুষ্ক। বেশিরভাগ রত্নপাথর এবং খনিজ পৃথিবীর গভীরতায় উচ্চ তাপমাত্রায় গঠিত হয়। দেশটির পরিবেশ তেমনই, যা তাদের গঠনকে সহজ করে তোলে।

আল-লুহাইবি বলেন, ‘আমরা সৌদি জাতীয় দিবস- ২০২২ এ একটি বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছিলাম। সেখানে আমরা সৌদির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আহরিত মূল্যবান রত্নগুলো প্রদর্শন করেছি। দর্শকদের সঙ্গে এগুলোর তথ্যও শেয়ার করেছি।

তিনি বলেন, ‘এই উদ্যোগ দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর প্রশংসা পেয়েছে। আমাদের কাছে এত সুন্দর, স্বাতন্ত্র্যসূচক রত্নপাথর দেখে তারা অবাক হয়েছিল।’

আল-লুহাইবি বলেছেন যে, সৌদি আরবে রত্নগুলোর প্রাপ্যতা এবং গুণমানের কারণে একটি সমৃদ্ধ ব্যবসা হয়ে উঠছে। অনেক সৌদি নাগরিক সক্রিয়ভাবে সৃজনশীল এবং অনন্য মাস্টারপিস তৈরির ব্যবসায় নেমেছেন। এগুলোর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

সৌদির এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, রত্নশিল্পের বিকাশের জন্য স্থানীয়দের সঠিক জ্ঞান এবং দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আমরা সৌদি রত্নপাথর প্রদর্শন এবং ব্যাখ্যা করার জন্য বিনামূল্যে শিক্ষামূলক উদ্যোগ চালু করি। এই উদ্যোগগুলোর মধ্যে কীভাবে রত্নপাথরগুলোকে পলিশ করতে হয় তা সেখানো হয়। নামমাত্র মূল্যে করানো হয় অন্যান্য কোর্স।

আল-লুহাইবি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য তরুণ সৌদিদের বেশি বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া। সৌদি আরবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এতে আগ্রহ প্রকাশ করছে।’