সুফিয়া কামাল কালের জাগরণ সৃষ্টি করেছিলেন

বঙ্গবন্ধু একাডেমির স্মরণ সভায় কবি অরুণ দাশগুপ্ত

বাংলার নারী জাগরণের আলোর দিশারী দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবি কবি সুফিয়া কামালের ১০৮ তম জন্মবার্ষিকী স্মরণ সভায় দৈনিক আজাদীর সহযোগী সম্পাদক কবি অরুণ দাশগুপ্ত বলেছেন অন্ধকার পথকে আলোকিত করার জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন কবি সুফিয়া কামাল উল্লেখ্য করে তিনি আরো বলেন- কলির যুগে নারীদের শিক্ষা অর্জনের কোন সুযোগ ছিল না। অন্ধকার অচলায়তনকে মাটি চাপা দিয়ে নারীদের শিক্ষায় সুশিক্ষিত করার সংগ্রামী তিনি।

তিনি বলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হৃদয়ে লালন করতেন কবি সুফিয়া কামাল। অংহকার-অহমিকা, লোভ-লালসা তাকে ছুঁতে পারেনি। যে কারণে কবি সুফিয়া কামাল বাঙ্গালীর মধ্যমনি কবি হতে পেরেছিলেন। তিনি আরো বলেন কবি সুফিয়া কামালের সাহিত্যকর্ম ও সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডগুলো সরকারিভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে কবির প্রতি যথাযথ সম্মান দেওয়া হবে এবং এতে বাঙ্গালীও সম্মানিত হবে। বঙ্গবন্ধু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত কবি সুফিয়া কামালের জন্মবার্ষিকী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে কবি অরুণ দাশগুপ্ত এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু একাডেমি সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক আলী আহমেদ শাহিনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন নাট্যজন সজল চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম প্রতিবন্ধী ফোরাম সংগঠনের সভাপতি এম এ সবুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিশু সাহিত্যিক কবি রমজান আলী মামুন, শ্রমিক নেতা ছিদ্দিকুল ইসলাম, ১৪ দলীয় জোট নেতা স্বপন সেন, জাসদ নেতা ভানুু রঞ্জন চক্রবর্তী, দৈনিক সমকালের জি.এম সুজিত কুমার দাশ, সাংবাদিক সৈয়দ দিদার আশরাফী, অধ্যাপক শিব প্রসাদ, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম খান, সাংকৃতিক সংগঠক প্রবণরাজ বড়–য়া, নাগরিক ঐক্যের চট্টগ্রাম আহ্বায়ক আব্দুল মাবুদ। বক্তব্য রাখেন এনপি সাগর, সি আর বিধান বড়–য়া, পারভিন আক্তার চৌধুরী, শিল্পী নুপুর আক্তার, মোহাম্মদ হোসেন মিন্টু, সোমা মুৎসুদ্দী, মুক্তিযোদ্ধা এম এ সালাম, মুক্তিযোদ্ধা দয়াল হরি দে, সজল দাশ, জামাল উদ্দিন কান্টু, কামাল হোসেন, এস.এম নুরুন্নবী জনি, শফিকুল ইসলাম সবুজ, বাদশা শেখ, সাইদুল ইসলাম মাসুম, মাসুমা কামাল, নারায়ন চন্দ্র দাশ, শিপক কুমার নন্দী, ছরোয়ারুল আলম, আরিফুল আকবর, একেএম মজিবুর রহমান, মো: তিতাস, কাজী আইয়ুব, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।