হজযাত্রার প্রথম দিনেই ভিসা জটিলতায় ফ্লাইট মিস ১৪০ জনের

ভিসা জটিলতায় নির্ধারিত সময়ে ফ্লাইট ধরতে না পারায় ১৪০ জন হজযাত্রী হজ করা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। রোববার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের সৌদি আরবের জেদ্দা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে এই সময়ের মধ্যে যাত্রীরা ফ্লাইট ধরতে পারেননি। এতে এসব যাত্রীদের আসন ফাঁকা রেখেই নির্ধারিত সময়ে উড়াল দিয়েছে বিমানটি। এখন আশকোনার হজ ক্যাম্পে উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছেন ১৪০ জন হজযাত্রী।
রোববার থেকেই হজযাত্রীদের পরিবহন শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ভোরে ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় প্রথম হজ ফ্লাইটটি। এরপর সকাল ৭টায়, সকাল সাড়ে ১০টায়, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে আরও তিনটি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে। রাত ১০টা ৫০ মিনিটে আরেকটি ফ্লাইট যাবে। গত বছর প্রতারক এজেন্সির পাল্লায় পড়ে হজে যেতে পারেননি ৩০০ জনের মতো হজযাত্রী।

এবার হজযাত্রীদের নিবন্ধনও আগে-ভাগেই শেষ করা হয়েছে। এর মধ্যেই হজযাত্রা শুরুর দিনই ১৪০ জন হজযাত্রীর ফ্লাইট মিস হল।
সংকটে পড়া হজযাত্রীরা বলছেন, এজেন্সির নির্দেশনা অনুযায়ী রোববার দুপুরে ফ্লাইট ধরতে শনিবারই তারা এখানে আসেন।

তাদের যে ভিসা হয়নি, এ কথা শেষ সময়ে এসে তাদের জানায় এজেন্সি। পরে ২টা ২০ মিনিটের যে ফ্লাইটটিতে তাদের টিকেট ছিল, সেটি তাদের না নিয়েই ঢাকা ছাড়ে। বিমানের পক্ষ থেকে হজ সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপক গোলাম সরওয়ার বলেন, ওই হজযাত্রীরা আমাদের কাউন্টারে আসেননি। তাদের রেখেই আমাদের যেতে হয়েছে। শুনেছি তাদের ভিসা হয়নি। হজযাত্রীদের একজন গাজিউর রহমান জানান, ‘জান্নাত ট্রাভেলস’ নামে একটি হজ এজেন্সির মাধ্যমে তারা ১৪০ জন যাচ্ছেন। শেষ সময়ে এজেন্সি তাদের জানায়, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে সময়মতো তাদের ভিসা হয়নি।
হজ ক্যাম্পের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি জান্নাত ট্রাভেলসের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেছেন। সমস্যার সুরাহা হচ্ছে। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ১৩৬ জনের ভিসা হয়েছে, বাকি ৪ জনেরও হয়ে যাবে। সোমবার নাগাদ তাদের অন্য ফ্লাইটে সৌদি আরব পাঠানোর চেষ্টা করা হবে। এখন তাদের সৌদি আরব যেতে আবার টিকেট কাটতে হবে কি না- জানতে চাইলে বিমানের ব্যবস্থাপক গোলাম সরওয়ার বলেন, এটা বিমানের বিপণন বিভাগের লোকেরা ভালো বলতে পারবে।
তবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা জানান, ফ্লাইট মিস করা ১৪০ যাত্রীকে ‘ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটে’ একসঙ্গে পাঠানো সম্ভব হবে না। তবে বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে তারা যেতে পারবেন। সে ক্ষেত্রেও সকলকে এক ফ্লাইটে জায়গা দেওয়া যাবে না, তাদের যেতে হবে মদিনা পর্যন্ত। এরপর আবার যাত্রীপ্রতি ৪০০ ডলার করে অতিরিক্ত দিতে হতে পারে। হজযাত্রীদের ফ্লাইট মিসের ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সন্ধ্যায় শাহজালাল বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। ভবিষ্যতে আর যেন এরকম না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।