অভিমান করে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন সঙ্গীতশিল্পী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক মনির খান। একইসঙ্গে তিনি রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার সংবাদ সম্মেলনে তিনি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। পরে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন অজুহাতে তাকে জাতীয় নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো। এ অবস্থায় তার নির্বাচনী এলাকার জনগণের প্রাণের দাবির সঙ্গে একাকার হয়ে বিএনপির সব ধরনের সাংগঠনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
মনির খান সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, জনগণের দাবিতে, ভক্তদের দাবিতে রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে আবার সঙ্গীতচর্চা শুরু করবো। মাঝখানে যে কয়টা দিন, যে কয়টা বছর রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত থেকেছি, এটি আমার জীবনের দুর্ঘটনা ছিল। ভুল ছিল।
মনির খান বলেন, তিনি দেশের একজন জাতীয় সঙ্গীতশিল্পী। জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) মহাসচিব হিসেবে যোগদান করেন। পরে তাকে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয়ে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সহ-সংস্কৃৃতিবিষয়ক সম্পাদক করা হয়। সঙ্গীতের পাশাপাশি দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করায় খালেদা জিয়া তাকে নির্বাচনী এলাকায় কাজ করার নির্দেশ দেন। তিনি সবসময় এলাকার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পাশে থেকে নির্বাচনী এলাকার জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর) আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন মনির খান। প্রাথমিকভাবে দলের মনোনয়নের চিঠি পেয়ে জমাও দিয়েছিলেন। তবে আসনটি জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে ছেড়ে দেওয়ায় চূড়ান্ত তালিকায় ঠাঁই হয়নি তার। এর পরই পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।