মাসে গড়ে২৮২২ টন সবজি ও ফলমূল বিদেশে রপ্তানি

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে গত নয় মাসে ১০ ধরনের সবজি ও ফলমূল বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এই সময়ে বন্দর দিয়ে ২৮ হাজার ২২০ টন সবজি ও ফলমূল রপ্তানি করে দেশিয় রপ্তানিকারকরা। এর মধ্যে আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, শালগম, বেগুন, কুমড়া, পেয়ারা ও তরমুজ রয়েছে। সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে কাঁচা কলা।
উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র এর তথ্যমতে, গত ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ১০ ধরনের সবজি ও ফলমূল বিদেশে রপ্তানি হয়েছে। এই সময়ে এসব রপ্তানি হওয়া পণ্যের পরিমাণ ২৮ হাজার ২২০ টন। এর মধ্যে আলু ২৫ হাজার ১৯৮ দশমিক ১৮৮ টন, বাঁধকপি ২ হাজার ১৪২ দশমিক ২৮৬ টন, ফুলকপি ৮ দশমিক ৪৮২ টন, টমেটো ১৮০ দশমিক ১৯৮ টন, শালগম ৫৬ দশমিক ২০০ টন, বেগুন শূন্য দশমিক ৫৭৬ টন, কুমড়া ৫৮২ দশমিক ৯০৩ টন এবং তরমুজ ১৩ দশমিক ৩২০ টন। এছাড়া সর্বশেষ বন্দর দিয়ে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় যুক্ত হয়েছে কাঁচা কলা। বগুড়ার শিবগঞ্জের ৪ দশমিক ৫ মেট্রিক টন কলা মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করে চট্টগ্রামভিত্তিক সবজি ও দেশিয় ফল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল। কলার পণ্য চালানটির মূল্য ছয় হাজার মার্কিন ডলার।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কাঁচা কলা রপ্তানির জন্য গত ৩০ মার্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আবেদন করে। কলার গুণগত মান পরীক্ষা করে ওই দিনই রপ্তানির অনুমোদন প্রদান করা হয়।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে কাঁচা কলা রপ্তানি এটিই প্রথম। এর আগে এ ধরনের পণ্য বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়নি। রপ্তানি হওয়া কলাগুলোকে স্থানীয় ভাষায় ‘আনাজি কলা’ বলে। এগুলো সবজি হিসেবে রান্না করা হয়।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, গত নয় মাসের বেশি সময়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ১০ ধরনের সবজি ও ফলমূল বিদেশে রপ্তানি করেছে দেশিয় রপ্তানিকারকরা। এই সময়ে বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া এসব ফল ও সবজির পরিমাণ ২৮ হাজার ২২০ টন। সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে বগুড়া শিবগঞ্জ থেকে সংগৃহিত কাঁচা কলা মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা হয়। এর আগে এ ধরনের কলা রপ্তানি হয়নি।
বাংলাদেশ ফল ও সবজি পণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিএফভিএপিইএ) তথ্য মতে, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে আকাশ ও সমুদ্রপথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১১৭ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ফল এবং সবজি রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বিভিন্ন মৌসুমী ফল রয়েছে। সে হিসেবে বছরে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ফল রপ্তানি হয়েছে।