আলোকায়ন চট্টগ্রাম ও রোটারি ক্লাব অব রিভারাইন হালদার ঈদবস্ত্র বিতরণ

এই ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফুটাতে এক বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে আলোকায়ন চট্টগ্রাম। এ উদ্যোগের নাম দেয়া হয়েছে “প্রজেক্ট হাসিমুখ”। প্রজেক্টের আওতায় প্রথম পর্বে আলোকায়ন চট্টগ্রাম ও রোটারি ক্লাব অব রিভারাইন হালদার যৌথ ব্যবস্থাপনায় অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হয় নগরীর নতুন ফিশারী ঘাট এলাকায়। এ প্রজেক্টে সহযোগী সংগঠন হিসেবে পাশে ছিল মায়াফুল পরিবার।
আলোকায়ন চট্টগ্রামের প্রধান নির্বাহী শাদ ইরশাদ এর সঞ্চালনায় ও রোটারি ক্লাব অব রিভারাইন হালদার ২০১৯-২০ এর প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন আলোকায়ন চট্টগ্রাম এর কার্যকরী পরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শাহিদুল আলম, সাহেদ সাজু, রোটারি ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮২ এর এডিশনাল লেফট্যানেন্ট গভর্নর ও রোটারি ক্লাব অব রিভারাইন হালদার প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান ওমর আলী ফয়সাল, অতীত প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মুহাম্মদ খুরশেদুল আলম, ভাইস প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান মুহাম্মদ জাবেদ, আলোকায়ন চট্টগ্রাম এর সদস্য কাজী ইরফাত হোসেন, আবরার মুহাম্মদ আনাস, এবং মায়াফুল পরিবারের পক্ষে শোভন, সাইফ ও যুবায়ের।

রোটারিয়ান মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, সমাজের অসংগতি দুর করতে হলে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরও ঈদ আনন্দে শামিল করতে হবে। তাদের ভবিষ্যত যেন সুন্দর হয় সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদেরকেই সে দায়িত্ব নিতে হবে। আলোকায়ন চট্টগ্রামের হাসি ফুটানোর এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। সমাজের সবাইকে এমন উদ্যোগে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহবান জানান।
রোটারিয়ান ওমর আলী ফয়সাল বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা, হাত ধোয়া, পড়ালেখা ও মানবিক মানুষ হয়ে উঠার উপদেশ দেন।
সংগঠনের প্রধান নির্বাহী শাদ ইরশাদ বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমরা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। ঈদে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পারলেই আমাদের সার্থকতা। আমরা চাই সবাই যার যার অবস্থান থেকে মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসুক।
উল্লেখ্য, প্রজেক্ট হাসিমুখের আওতায় নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় ২০০ জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের জামা বিতরণ করা হয়।