চবিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপিত

চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ১০ জানুয়ারি ২০২৩ বেলা ১১:০০ টায় চবি শহীদ মিনার চত্বর থেকে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয় র‌্যালি। র‌্যালিটি চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়। অতঃপর চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে চবি মাননীয় উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চবি মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া।
মাননীয় উপাচার্য তাঁর ভাষণে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি জাতীয় চারনেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশলক্ষ শহীদ ও ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবর্গের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত দু’লক্ষ জায়া, জননী, কন্যার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানি জান্তাদের নির্মম নির্যাতন ও অত্যাচারের মাঝেও মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জাতির পিতা অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি। জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির জন্য এক অবিস্মরনীয় ঘটনা। বাঙালি জাতির নয়নমণি জাতির পিতাকে মাতৃভূমিতে পেয়ে বাঙালি জাতি প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর অদম্য সাহস ও দূরদর্শী নেতৃত্বের গুণে নিপীড়িত বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে পাকিস্তানি হায়েনাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ বিশ^নেতা তাঁর শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে বাঙালি জাতির প্রতি ভালোবাসার স্বাক্ষর রেখে গেছেন। তাইতো বাংলাদেশের সকল মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, বিশ^বিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।