মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন বশর হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির হতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও একজন সাক্ষীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল হালিম রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

গ্রেফতার পরোয়ানা জারিকৃতরা হলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন ও সাক্ষী শাহ জাহান।
চট্টগ্রামের জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, হারুন বশর হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মামলাটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন থমকে ছিল। আদালতে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আবেদন করলে ২ জন সাক্ষীকে হাজির করতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মামলাটি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ফটিকছড়ির উপজেলার মোহাম্মদ তকিরহাট এলাকায় ১৯৯২ সালের ৮ মে গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভুজপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তখনকার সাধারণ সম্পাদক হারুন বশরকে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফের গাড়িচালক ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় ২৬ জনকে আসামি করে ১৯৯২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০০২ সালের ২৫ জুন আদালতে অভিযোগ গঠন হয়। অভিযোগপত্রের প্রধান আসামি দিদারুল আলম জামিনে আছেন। এই মামলার আসামি মো. নাছির উদ্দিন (শিবির নাছির) ও শফিউল আলম বর্তমানে কারাগারে আছেন।

পলাতক আসামিরা হলেন- নাছির উদ্দিন, কমরু, সেলিম, ইকবাল, সোলাইমান, হুমায়ূন, মো. ইয়াকুব, তৈয়ব, হোসেন, সাইফুদ্দিন, নুরুল ইসলাম, সুজা, জামশেদ, নাছিরুল, মাহবুব, মো. জসিম, শফি, শাহ আলম, জাহাঙ্গীর, ইলিয়াস, অলি উল্লাহ ও নাজিম উদ্দিন। আসামি ইলিয়াস, অলি উল্লাহ ও নাজিম মারা গেছে কিনা সেই বিষয়ে আদালত প্রতিবেদন তলব করেছেন। ঘটনার দিন ফটিকছড়ি আজাদী বাজার এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন চলাকালে ১০০/১৫০ ছাত্রশিবির ও এনডিপির সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া গুলিবর্ষণ করলে সম্মেলন বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে গুলিতে খুন হয় ছাত্রলীগকর্মী জমির উদ্দিন। ওই হামলায় সম্মেলন পণ্ড হওয়ার পর নিহত কর্মী জমিরের জানাজা পড়ে নিজ গাড়িতে শহরে ফিরছিলেন তখনকার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তার সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন হারুন বশর।