‘বঙ্গবন্ধু :ছাত্ররাজনীতি ও এর প্রাসঙ্গিকতা ‘শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু :ছাত্ররাজনীতি ও এর প্রাসঙ্গিকতা ‘শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সোহরাওয়ার্দী হল।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট কক্ষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসাবে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়।
বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট শিপক কৃষ্ণ দেবনাথ।

শোক দিবস সম্পর্কে আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রভোস্ট ড. শিপক কৃষ্ণ দেব নাথ বলেন,পাকিস্তানি ঘাতকদের একটি উদ্দেশ্য ছিল।সেটি হলো জাতির পিতাকে হত্যা করে তার সকল আদর্শ মুছে ফেলা। কিন্তু একজন মুজিবকে হত্যা করা যেতে পারে, তার আদর্শ কখনো নিশ্চিহ্ন করা যায় না। বঙ্গবন্ধু তিন বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন।সেই তিন বছরে আমরা দেখতে পাই স্বাধীনতা উত্তর এই দেশ কতটা এগিয়ে গিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে আবার দেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এসেছে। অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন অনুসরণ করেই তার আদর্শের ধারক-বাহক হতে পারলেই এগিয়ে যাবে দেশ, সমৃদ্ধ হবে জাতি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হলের আবাসিক শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: মোরশেদুল আলম তিনি বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তাই আগস্ট হলো বাংলার আকাশ-বাতাস ও প্রকৃতির অশ্রুসিক্ত হওয়ার মাস। পাকিস্তানপন্থী একদল দুর্বৃত্ত সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে করেছে কলঙ্কিত।আমি মনেকরি বঙ্গবন্ধুর মত আর কোনো জননেতা জনমনে এতো গভীরভাবে অমরত্ব লাভ করতে পারবে না।আমাদের সকলের উচিত বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তার আদর্শ বাস্তবায়ন করা।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের ভিতর আরো উপস্থিত ছিলেন হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. আবুল বাশার,নাজেমুল আলম, সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মনির আহমদ, সেকশন অফিসার আবু বক্কর,এনামুল হক (মিঠু)।