স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার হামলায় আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ঢাকার সাভারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার হামলায় আহত হোসেন আলী (৪০) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
অভিযুক্ত ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাফু।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) ভোরে সাভারের এনাম মেডিকেলে নিউরো-আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী। নিহত হোসেন আলী রাজফুলবাড়িয়ার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত শফিতুল্লার ছেলে।

এর আগে ২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিকশাযোগে বাসায় ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হোসেন আলী ও তার ভাই খোরশেদ আলম। ১৩ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হোসেন আলী।

এ ঘটনায় ২৮ নভেম্বর সাভার মডেল থানায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাফুকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছিল।

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- সাফুর সহযোগী আনোয়ার হোসেন, মো. আব্বাস বাদল, কামরুল, নাঈম, আনিস ও মুন্নাসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন। তারা সবাই রাজফুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম সাফু ও হোসেন আলীর পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গত ২৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে হোসেন ও তার ভাই খোরশেদ রিকশায়যোগে রাজফুলবাড়ীয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে রামচন্দ্রপুর এলাকায় পৌঁছালে অভিযুক্তরা তাদের গতিরোধ করে দেশীয় ছুরি, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে এনাম মেডিকেলের নিউরো আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাফু বলেন, ‘হোসেনের চাচাতো ভাইদের সঙ্গে আমার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল, হোসেনের সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। এ ছাড়া হোসেনের সঙ্গে অনেক লোকের ঝামেলা রয়েছে। কে বা কারা তাদের মেরেছে এ ব্যাপারে আমি জানি না। তারা অযথা দোষারোপ করছেন।’

ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। তবে আইনগত বা সামাজিকভাবে কেউ অপরাধী হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাভার মডেল থানার ট্যানারি ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।