বিশ্বকাপে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশংসা

আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস আজ। এদিন মধ্যপ্রাচ্য ও আরব দুনিয়ায় প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলের একটি ম্যাচ হতে যাচ্ছে। ফলে বিশ্বকাপের ভক্ত এবং কাতার ২০২২-এর আয়োজকরা একটি সুযোগ পেয়েছেন। এ সুযোগে তারা বিশ্বকাপ আয়োজনে যে ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক অপূরণীয় অবদান রাখছেন তাদের স্বীকৃতি জানাবে। এসব স্বেচ্ছাসেবককে সম্মানিত করার বিষয়টি এই টুর্নামেন্টের হৃদয়ে- এমনটাই দেখা হচ্ছে। তাই আয়োজকরা তাদের সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়ায় স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। শ্রদ্ধা জানাবেন আজ আল জানুব স্টেডিয়াম এবং স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ম্যাচের সময়। এর সঙ্গে ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ ট্রফি রাখা হবে হাজারো স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য, যাতে তারা ছবি তুলতে সমবেত হতে পারেন। এ ঘটনা ঘটবে দোহা এক্সিবিশন সেন্টারের ভলান্টিয়ার হাব-এ। ফিফা কমিউনিকেশন থেকে দেয়া বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

২০শে নভেম্বর শুরু হয় টুর্নামেন্ট।

তখন থেকেই কাতারের আটটি স্টেডিয়াম, ২৫টি অফিসিয়াল এবং নন-অফিসিয়াল সাইটে পুরোপুরি মোতায়েন করা হয়েছে এসব স্বেচ্ছাসেবককে। তারা টিকেট চেকিং, সেবা দেয়া, ভাষাগত সহায়তা এবং মিডিয়া অপারেশনে সহায়তা করছেন। বেগুনি, কালোতে খুব সহজেই চেনা যায় তাদেরকে। দোহা’র সব স্থানেই তাদেরকে দেখতে পাওয়া যায়। কোনো কিছুর অনুসন্ধানে সহায়তা করছেন তারা। টুর্নামেন্টজুড়ে তারা পর্যটকদের সামনে তুলে ধরছেন মানবীয় গুণ।
ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ কাতার ২০২২ এলএলসি’র প্রশাসনিক পরিচালক রাশা আল কারনি বলেন, সব স্বেচ্ছাসেবককে নিয়ে আমরা খুবই গর্বিত। শুধু স্টেডিয়ামের ভিতরে যাদেরকে দেখা যায়, তারাই নন। পর্দার আড়ালেও আছেন অনেকে। তারা মানুষকে সহায়তা করছেন। শহরজুড়ে তাদের উদারতা অনুভূত হচ্ছে। আমি নিশ্চিত তারা যা করছেন তা একটি টেকসই লিগ্যাসি হয়ে থাকবে। সেই লিগ্যাসি হবে এ অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবকদের সংস্কৃতির।
আরেকটি প্রশংসনীয় শুভেচ্ছার নিদর্শন হলো ডেভিড বেকহ্যাম, মারসেল দেসাইলি এবং ইয়াইয়া তুরে সহ বিশ্বকাপ ফুটবলের ১০জন দূত ২০শে নভেম্বর দোহা এক্সিবিশন সেন্টারে ভলান্টিয়ার হাবে বিস্ময়করভাবে পরিদর্শন করেছেন। সৌভাগ্যবান স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে তারা সাক্ষাত করেছেন। মতামত বিনিময় করেছেন। আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসকে সেলিব্রেট করা উপলক্ষে ওই ইভেন্টের ভিডিও শেয়ার করা হবে।