ফকির হাট বাজারের উন্নয়ন নেই, জন ভোগান্তি

রাউজান ফকির হাট বাজার ১৯লাখ ৫২ হাজার ১শত ৫০ টাকায় ইজারা দেওয়া হলে ও বাজার ইজারার টাকা থেকে ৪০ শতাংশ বাজারের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করার নিয়ম থাকলে ও বাজার ইজরা প্রদানকারী রাউজান পৌরসভা বাজারের উন্নয়ন কাজ করেনি । নিউজ চট্টগ্রাম

রাউজান উপজেলার সদরে রাউজান ফকির হাট বাজার । ফকিরহাট বাজারের ইজারাদার নিজ খরচে বাজারের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করার কথা বাজারের ইজারার চুক্তিপত্রে লেখা থাকলে ও বাজারের ময়লা আর্বজনা ব্যবসায়ীরা তাদের টাকা দিয়ে পরিস্কার করে বলে ব্যবসায়ীরা জানান । রাউজান ফকির হাট বাজারের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করে মাঝে মধ্যে রাউজান পৌরসভার মাষ্টাল রোল ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া কয়েকজন মহিলা সুইপার । রাউজান উপজেলার সদরের ফকির হাট বাজারের পানি নিস্কাসনের জন্য নির্মিত নালা নর্দমা ময়লা আর্বজনায় ভরাট হয়ে গেলে ও বাজারের ইজারাদার ও রাউজান পৌরসভা পরিস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টি হলে নালা নর্দমা দিয়ে পানি চলাচল করতে প্রতিবন্দ্বকতা সৃষ্টি হয়ে বাজারের সড়কগুলো ময়লা আর্বজনা বেষ্টিত পানিতে ডুবে যায় । ময়লা আর্বজনা বেষ্টিত প৪ানি দিয়ে ফকির হাট বাজারে ক্রেতারা চরম দুর্ভোেেগর মধ্যে দিয়ে চলাচল করে । রাউজান ফকির হাট বাজরটি চলতি ১৪২৬ বাংলা সনের পহেলা বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ষ্টাম্পের মধ্যে চুক্তিপত্র করে ইজারা নেয় রাউজান পৌরসভার দলিলাবাদ এলাকার সিরাজুল হকের পুত্র মোঃ ইলিয়াছ । সাপ্তাহের প্রতি রবিবার ও বৃহস্পতিবার ফকির হাট বাজার বসে । বাজারের ইজারাদার মোঃ ইলিয়াছ বাজার থেকে তার নিজস্ব লোক দিয়ে টোল আদায় করে । বাজার ইজারার চুক্তিপত্রে বাজার থেকে টোল আদায় করার তালিকা টাঙ্গিয়ে রাখার কথা উল্লৈখ থাকলে ও ইজারাদার মোঃ ইলিয়াছ বাজারে টোল আদায়ের তালিকার বোর্ড না টাঙ্গিয়ে মাছ বিক্রেতা, মাংস বিক্রেতা, সব্জি বিক্রেতা, ফল বিক্রেতাদের কাছ থেকে ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা করে টোল আদায় করছে । এছাড়া ও বাজারের ইজারাদার ইলিয়াছ বাজারবার ছাড়াও প্রতিদিন ফকির হাট বাজার মাছ ব্যবসায়ী, তরিতরকারী বিক্রেতা, ফল বিক্রেতা, শুটকি বিক্রেতার কাছ থেকে টোল আদায় করে । বাজার ইঝারার চুক্তিপত্রে প্রতিদিন টোল আদায় করার কথা উল্লেখ নেই। এব্যাপারে বাজারের ইজারাদার মোঃ ইলিয়াছের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন প্রতিদিন টোল আদায় করার কথা চুক্তিপত্রে উল্লেখ রয়েছে । বাজারের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করার বিষয়ে ইজারাদার মোঃ ইলিয়াছ বলেন বাজারের ময়লা আর্বজনা রাউজান পৌরসভার সুইপারেরা পরিস্কার করে । রাউজান ফকির হাট মাছ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন বলেন, বাজারের প্রতিজন মাছ ব্যবসায়ী প্রতিদিন ৪৫ টাকা করে টোল দিতে হয় । বাজারের ময়লা আর্বজনা ইজারাদার ও রাউজান পৌরসভা পরিস্কার করেনা ব্যবসায়ীরা নিজের টাকা দিয়ে লোক দিয়ে পরিস্কার করতে হয় । রাউজান উপজেলা সদরের ফকির হাট বাজার ১৯লাখ ৫২ হাজার ১শত ৫০ টাকায় ইজারা দেওয়া হলে ও বাজার ইজারার টাকা থেকে ৪০ শতাংশ বাজারের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করার নিয়ম থাকলে ও বাজার ইজারা প্রদানকারী রাউজান পৌরসভা বাজারের কোন উন্নয়ন কাজ করেনি । গত বৎসরের বর্ষার মৌসুমে রাউজান পৌরসভার সাবেক প্যলেন মেয়র আনোয়ারুল ইসলাম ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চাদাঁ তুলে ময়লা আর্বজনায় ভরাট হয়ে যাওয়া ফকির হাট বাজারের পুর্র্ব অংশের নালা নর্দমা পরিস্কার করেন বলে রাউজান পৌরসভার সাবেক প্যনেল মেয়র আনোয়ারুল ইসলাম জানান । রাউজান ফকির হাট বাজারের পুর্ব অংশের মাছ বাজারের জরার্জিন পুরাতন মার্কেট ভেঙ্গে রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির একান্ত প্রচেষ্টায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর নতুন করে নির্মান করে দেয় । রাউজান ফকির হাট বাজারের প্রবেশমুখের দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী সড়কটি রেলপথ মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবি এম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির একান্ত প্রচেষ্টায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সিসি ঢালাই করে নির্মান করে । রাউজান ফকির হাট বাজারের ইজারার টাকা থেকে বাজারের উন্নয়নে কাজ করার নিয়ম থাকলে ও বাজারের উন্নয়নে ইজারার টাকা দিয়ে কোন কাজ করা হয়নি । এব্যাপরে রাউজান পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত সচিব ও প্রকৌশলী রুমেল বড়–য়ার কাছে ফকির হাট বাজারের ইজারার চুক্তিপত্রের ফটোকপি চাইলে তিনি ইজারার চুক্তিপত্রের ফটোকপি দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, ফকির হাট বাজারটি ১৪২৬ বাংলা সনের পহেলঅ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য দলিলাবাদ এলাকার মোঃ ইলিয়াছ ১৯লাখ ৫২ হাজার ১শত ৫০ টাকায় ইজারা নিয়েছে । বাজারের টোল আদায় করছে প্রতিদিন । বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাঝ করছে রাউজান পৌরসভার সুইপার । ইজারাদার নিজ খরচে বাজারের ময়লা আর্বজনা পরিস্কার করার কথা থাকলে ও ইজারাদার বাজার পরিস্কার করছেনা ।