দুটি ময়লার ডিপোতে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে

চসিক পরিচ্ছন্ন বিভাগের সমন্বয় সভায় মেয়র

আরেফিন নগর ও হালিশহর আবর্জনা ডাম্পিং-এ ময়লার গাড়ী সঠিক নিরুপণের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশ দিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।

আজ বৃহষ্পতিবার বিকেলে কেবি আবুদচ ছত্তার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন বিভাগে কর্মরত সুপারভাইজাদের এক সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মন্নান ছিদ্দিকী, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। মেয়র বলেন, চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কার্যক্রমের উপর নগরীর সৌন্দর্য,দৃষ্টিনন্দন ও পরিবেশ নির্ভর করে। তাই পরিচ্ছন্ন সুপার ভাইজার,পরিদর্শক সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দ্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করতে হবে। এতে রক্ষিত হবে পরিবেশ বান্ধব চট্টগ্রাম নগর। তিনি বলেন নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আবর্জনা নিয়ে দুটি টিজিতে কি পরিমাণ ময়লা আবর্জনা ডাম্পিং করে তার কোন সঠিক হিসেব নিকেশ নেই। সঠিক হিসেবের জন্য দুটি টিজিতে সিটি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত দেন মেয়র। তিনি বলেন বর্তমান মৌসুমটি ফলমূলের মৌসুম। এ মৌসুম আরো ২/৩ মাস অব্যাহত থাকবে। সময়টা অন্যান্য সময়ের চেয়ে ময়লা আবর্জনা বেশি হওয়া স্বাভাবিক। তাই সকলের সম্মিলিত প্রয়াস ও আন্তরিকতার মাধ্যমে আমাদের শহরকে পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মেয়র ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ কার্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন ১৯৭১ জন ডোর টু ডোর শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের প্রতি আমাদের অনেক প্রত্যাশা। সে প্রত্যাশা আজ পর্যন্ত শতভাগ তারা পূরণ করতে পারে নি। তাই তাদের কাজ কর্মে সুষ্ঠ তদারকি করার জন্য মেয়র সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান। মেয়র কোন ওয়ার্ডে কতজন সেবক এবং কয়টি গাড়ী সচল তার পূূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন নগরীর ময়লা আবর্জনা দ্রুত সময়ের মধ্যে অপসারনের নিমিত্তে ভ্যানগাড়ীর পরিবর্তে টমটম গাড়ী প্রদান করা হবে।