বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে আবুল হাশেম বক্কর

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নন, তিনি হচ্ছেন গণতন্ত্রের মূর্ত প্রতীক। যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর সংগ্রাম করে স্বৈরচারী সরকারের পতন ঘটিয়েছিলেন। তিনি জনগনের ভালবাসায় সিক্ত হয়ে তিনবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ১/১১ সময় তিনি কারাগার থেকেই সরকারকে বাধ্য করেছিলেন জরুরী অবস্থা তুলে নিতে। আজকে তাদের চেয়েও খারাপ হচ্ছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। তারা মানুষের সমস্ত অধিকার গুলো দখল করে রেখেছে। সারা দেশের মানুষ এখন ঋণগ্রস্ত। সাধারণ মানুষ চোখে অন্ধকার দেখছে। তিনি মঙ্গলবার (১৬ আগষ্ট) বাদে আসর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৭৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও দুঃশাসনে দেশের জনগণ দিশেহারা। দেশ এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একদিকে জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে দিশেহারা দেশের জনগণ। সরকারের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত, সীমাহীন দুর্নীতির আশ্রয় প্রশ্রয় দেশকে একটি ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশ পরিচালনায় সরকার সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। দোয়া মাহফিলে জটিল রোগে আক্রান্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোসহ মৃত্যুবরণকারী নেতাকর্মীদের মাগফেরাত কামনা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। জামে মসজিদের খতীব মাওলানা এহসানুল হক দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, শ্রমিকদল নেতা শামসুল আলম (ডক), থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, আবদুস সাত্তার সেলিম, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপি নেতা এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, দিদারুল আলম, আবদুল বাতেন, সালাউদ্দীন কায়সার লাভু, ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙ্গালি, আরিফ মেহেদী, ইউনুছ চৌধুরী হাকিম, আবু মুছা, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, আবদুল আজিজ, আলী আজম চৌধুরী, ইউছুপ শিকদার, আলী ইউছুপ, কেন্দ্রীয় জাসাসের সদস্য আমিনুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, হাজী নবাব খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, ফয়েজুল ইসলাম, জাহিদ মাষ্টার, কাজী শামসুল আলম, জানে আলম জিকু, ফারুক আহমদ, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, মো. বেলাল, শরিফুল ইসলাম, মোশারফ জামাল, হাজী মো. মহসিন, খাজা আলাউদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, হাজী মো. মহিউদ্দীন, সাদেকুর রহমান রিপন, আবু সাইদ হারুন, সৈয়দ আবুল বশর, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, হাসান ওসমান চৌধুরী, আলী হায়দার, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মো. হাসান, হাজী মো. জাহেদ, শফি উল্লাহ, মামুন আলম প্রমুখ।