সার্বিক পরিস্থিতি এখনো পর্যবেক্ষন করছি তারপর পদক্ষেপ : মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কর্পোরেশনের সার্বিক অবস্থা আমি এখনো পর্যবেক্ষন করছি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা চেইন অব কমান্ড মেনে কাজ-কর্ম করুন। অনৈতিক কোন আবদার ও কাজে আমাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। যদি চেষ্টা করেন তাহলে কেউ ছাড় পাবেন না। তিনি আজ রোববার বিকেলে কর্পোরেশনের টাইগারপাস অফিসের কনফারেন্স রুমে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলমের বদলি জনিত বিদায় সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির ব্ক্তব্যে এসব কথা বলেন। কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া,আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী লীগ (সিবিএ) এর সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কর কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। এতে কর্পোরেশনের বিভাগীয় প্রধান ও পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী আরো বলেন, দায়িত্ব গ্রহন করার পর যতদিন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে কাজে-কর্মে পেয়েছি ততদিন আমার ওনাকে সৃজনশীল ও দক্ষ কর্মকর্তা মনে হয়েছে। তিনি একজন সুনিপুন যোগ্য কর্মকর্তা । সবসময় কর্পোরেশনের স্বার্থকে বড় করে দেখেছেন। এরকম কর্মকর্তা দেশের জন্য সম্পদ। মেয়র চসিকের কর্মকর্তাদেরও তাঁর মত সততা ও নীতিনিষ্ঠার সাথে পথ অনুসরন করে কাজ করার আহ্বান জানান।
বিদায়ী রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে আমার কর্মকাল ২ বছর ৪ মাস ১১ দিন। এসময়ে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করতে আমি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। তাতে সুফলও মিলেছে। আমার অর্জনের মধ্যে আছে রাজস্ব বিভাগের শৃঙ্খলা ফিরানো, অভ্যন্তরীন নিরীক্ষা চালু, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরোধ মিটিয়ে মিলে মিশে কাজ করানো । আক্ষেপ থেকে গেল কর আদায় পদ্ধতিটা অনলাইন করতে না পারা। আশাকরি নতুন যোগ দেয়া প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবেন।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বিদায়ী এ কর্মকর্তার বক্তব্য শুনে তার এসব পরামর্শ ও অভিজ্ঞতাগুলো লিখিত আকারে নতুন যোগ দেয়া প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে দিতে বলেন। তিনি প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার সাথে বসে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন। পরে বিদায়ী রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলমের হাতে ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী তুলে দেন মেয়র ।


সত্যিকার ধর্মচর্চা মানুষকে মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়: কাতালগঞ্জ নব পণ্ডিত বিহারে মেয়র রেজাউল
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন,ধর্ম হলো মানুষের বিশ্বাসের বিষয়। সত্যিকারের ধর্মচর্চা মানুষকে নীতি নৈতিকতা, মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়। অসত্যের পথ থেকে আলোর পথে নিয়ে আসে। জাগ্রত করে বিবেককে। তিনি আজ দুপুরে কাতালগঞ্জ নব পণ্ডিত বিহারে সংঘনায়ক অধ্যাপক বনশ্রী মহাথেরো ও উপ-সংঘনায়ক রতনশ্রী মহাথেরোর বরণোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সভাপিত সদ্ধর্মজ্যোতি শাসনতিলক সুনন্দ মহাথেরো। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথেরো। স্বাগত ভাষণ দেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার মহাসচিব ভদন্ত বোধিমিত্র মহাথেরো।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া, উপানন্দ মহাথেরো,সংঘানন্দ থেরো, সুমঙ্গল থেরো,করুনাশ্রী থেরো,সুপালবংশ থেরো, শ্রদ্ধানন্দ থেরো, ভিক্ষু তন্হংকর থেরো ও প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বৌদ্ধ সভ্যতা অনেক প্রাচীন। এর ইতিহাস ঐতিহ্য আছে। বাংলাদেশের প্রত্নত্বত্তীয় বেশিরভাগ সভ্যতাই বৌদ্ধধর্মীয়। বুদ্ধের অহিংস বাণী এই উপমহাদেশে প্রচার ও প্রসার লাভ করে। এই বাণীর মমার্থকে ধারণ করে মানবিকতা অর্জন করলেই প্রকৃত মানুষ হওয়া যায়। তিনি প্রত্যেক ধর্মানুসারীকে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তাহলেই স্বাধীনতার সুফল মিলবে। মেয়র সব ধর্মানুসারীর মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকবে এটা প্রত্যাশা করেন। মুজিববর্ষে এটায় হোক আমাদের সবার অঙ্গীকার। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষজ্ঞ, সমাজের মুরুব্বী গুনীজনদের পরামর্শ নেবেন বলে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন।
সভায় বৌদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও কাতালগঞ্জ নব পণ্ডিত বিহারের অধিগ্রহনকৃত জায়গার ব্যাপারে মেয়রের সহযোগীতা চাইলে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগীতা করা হবে বলে জানানো হয়। শুরুতে দলীয় নৃত্য সংগীত পরিবেশন করা হয়।