আবদুল কাদেরসহ ১১ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড

নগরের ডবলমুরিং থানাধীন পাঠানটুলী এলাকায় গোলাগুলিতে একজন নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রধান আসামি কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরসহ ১১ জনকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে আসামিদের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ডর আদেশপ্রাপ্ত ১১ আসামি হলেন- মো. আবদুল কাদের (৫০), হেলাল উদ্দিন প্রকাশ হেলাল (৪০), ওবাইদুল করিম মিন্টু (৪৫), আসাদ রায়হান (৩৫), ইমরান হোসেন ডলার (২৪), দিদার উল্লাহ (৪৮), মিনহাজ হোসেন ফরহাদ (২০), শহিদুল ইসলাম প্রকাশ সাহেদ (৩৭), জাহিদুল আলম জাহিদ (২৫), শহিদুল ইসলাম (৩৩) এবং আবদুর রহমান (৪৪)।

এদের মধ্যে মিনহাজ হোসেন ফরহাদ, শহিদুল ইসলাম প্রকাশ সাহেদ, জাহিদুল আলম জাহিদ, শহিদুল ইসলাম, আবদুর রহমান এ মামলার সন্দিগ্ধ আসামি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন শাখার দায়িত্বরত কর্মকর্তা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন খান বলেন, এজাহারনামীয় ছয়জন ও সন্দিগ্ধ ৫ জনসহ মোট ১১ জনকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের মগপুকুর পাড় এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ও সদ্য সাবেক কাউন্সিলর মো. আবদুল কাদেরের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে মো. আজগর আলী বাবুল (৫৫) নামে একজন মারা যান। নিহত আজগর আলী বাবুল আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুরের সমর্থক।

বুধবার ভোরে ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলর প্রার্থী মো. আবদুল কাদেরকে প্রধান আসামি করে মোট ১৩ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে মামলা দায়ের হয় ডবলমুরিং থানায়। এছাড়া ৩০-৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন, মো. আবদুল কাদের (৫০), হেলাল উদ্দিন প্রকাশ হেলাল (৪০), ওবাইদুল করিম মিন্টু (৪৫), আবদুল ওয়াদুদ রিপন (৪২), আবদুর রহিম রাজু (৪৫), আসাদ রায়হান (৩৫), আলাউদ্দিন আলো (৩৫), ইমরান হোসেন ডলার (২৪), দিদার উল্লাহ (৪৮), সালাউদ্দিন সরকার (৪৫), দেলোয়ার রশিদ (৪২), মো. আলমগীর (৪৫) ও আবদুন নবী (৪৭)